1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন

আমি যদি ডি ভিলিয়ার্স হতে পারতাম : কোহলি

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক : সোমবার রাতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে প্রথম ইনিংসে দুইশ হওয়ার পরেও সেই ম্যাচ গড়িয়েছে সুপার ওভারে। আগে ব্যাট করে ২০১ রান করেছিল ব্যাঙ্গালুরু। পরে মুম্বাইয়ের ইনিংসও থামে ঠিক ২০১ রানেই।
সুপার ওভারে নবদ্বীপ সাইনির দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচ জিতেছে ব্যাঙ্গালুরু। এখনও পর্যন্ত তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছে বিরাট কোহলির দল। তবে অধিনায়ক কোহলির ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের অবস্থা তথৈবচ। তিন ম্যাচে মাত্র ১৮ রান করেছেন তিনি। যা কি না আইপিএলে তার সবচেয়ে বাজে শুরু।
কোহলির ঠিক উল্টো অবস্থায় রয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর আরেক তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ২৪ বলে ৫৫ রানের টর্ণেডো ইনিংস খেলে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। আগের দুই ম্যাচেও করেছেন যথাক্রমে ৩০ বলে ৫১ এবং ১৮ বলে ২৮ রান। যা ব্যাঙ্গালুরুর জয়ে অবদান রেখেছে বেশ।
দলের দুই সেরা পারফরমারের পারফরম্যান্সের এমন বৈপরীত্য বেশ চিন্তারই বিষয় ব্যাঙ্গালুরুর জন্য। তাই কোহলির মনের বাসনা, তিনি যদি এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো হতে পারতেন, তাহলে হয়তো আরও ভালো অবস্থায় থাকত দল। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে অমন ঝড়ো ফিফটির পর ডি ভিলিয়ার্সকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোহলি।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমার ইচ্ছা হয়, যদি আমি এবি ডি ভিলিয়ার্স হতে পারতাম! দীর্ঘ বিরতির পর সে এসেছে মাঠে। যেভাবে সে ব্যাটিং করেছে, কিছু শট খেলেছে, সত্যিই অবিশ্বাস্য। বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলার কাজটা সেই সেরাভাবে করতে পারে। সবকিছু সহজ রাখতে পছন্দ করে এবং নিজের জীবনকে উপভোগ করে। সবচেয়ে বড় কথা, নিজের সামর্থ্যে কখনও প্রশ্ন করে না। সবসময় শান্ত থাকে, তার কাছ থেকে এসবই চাই আমরা।’
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচটির ব্যাপারে কোহলির মূল্যায়ন, ‘আমার এখন আসলে কিছু বলার নেই। এটা রোলার কোস্টারের মতো একটা ম্যাচ ছিল। আমার মতে তারা খুব ভালো খেলেছে, ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে ধৈর্য্য রেখেছে। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছিলাম। খুবই ক্লোজ একটা ম্যাচ জিতেছি। যেখানে ছোট ছোট বিষয় বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘জাসপ্রিত বুমরাহর বিপক্ষে টক্কর দেয়াটা দারুণ ছিল। উচ্চ মানের ক্রিকেট এবং এমন সব ম্যাচ হলে মানুষও দেখতে ভালোবাসে। কিছু পরিবর্তন আমরা এনেছিলাম। ওয়াশিংটন সুন্দরকে পাওয়ার প্লে’তে বোলিং করিয়েছি। গুরকিরাত শিং ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পায়নি, তবে দারুণ ক্রিকেটার। সাইনি দারুণ এক সুপার ওভার করেছে। ইয়র্কার এবং ওয়াইড ডেলিভারির দুর্দান্ত ব্যবহার দেখিয়েছে সে। সামনের দিনগুলোতে এই ম্যাচ আমাদের অনেক সাহায্য করবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি