জাহিদুল ইসলাম নিক্কন,ঈশ্বরদী (পাবনা):
পাবনার ঈশ্বরদীতে হলুদ আর বেগুনি ফুলকপিতে রঙ্গীন হয়েছে কৃষকের ক্ষেত। কৃষক শফিকুল ইসলাম হলুদ রঙের কেরটিনা,বেগুনি রঙের ভেলেনটিনা এই দুই জাতের রঙীন ফুল কপি চাষ করে ঈশ্বরদীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, প্রথম বারের মত এই রঙীন জাতের ফুল কপি চাষ করায় প্রতিদিন তার জমিতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। জমি থেকেই কেউ কেউ কিনছেন শখের এই সু-স্বাদু রঙীন ফুল কপি। জমিতে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী মাথালপাড়া গ্রামের আঃসাত্তারের ছেলে কৃষক শফিকুল ইসলাম নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি চাষ করে তাক লাগিয়েছেন।কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন,রঙিন ফুল কপির কথা আমি লোক মুখে শুনে ছিলাম। এরপর সামান্য জমিতে চাষ করার উদ্যোগ নেই।কিন্তু রঙীন ফুল কপির বীজ অনেক মূল্য হওয়ায় উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতা চেয়ে ছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে কোন প্রকার সাহায্য না পেয়ে রঙীন ফুল কপির চাষের স্বপ্ন যখন শেষ ঠিক তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন দাশুড়িয়া-শাখা। তাদের সহযোগীতায় প্রথম বারের মত মেট ১০ কাঠা জমিতে বেগুনি ও হলুদ জাতের রঙীন জাতের ফুল কপির চাষ করেছি,ফলন বেশ ভালো হয়েছে। চাহিদার তুলনায় দামও ভালো পেয়েছি, খেতে সু-স্বাদু হওয়ায় ফুল কপি অনেকেই ক্ষেত থেকেই সংগ্রহ করছে উচ্চ মূল্যে। কেউবা সংগ্রহ করছে শখের বসে,সব মিলিয়ে বেশ ভালো আয় হচ্ছে এই রঙীন ফুল কপিতে। তিনি বলেন,রঙিন এই ফুল কপির বীজের দাম অনেক বেশী, তবে আমাদের উপজেলা কৃষি অফিস কর্মকর্তারা যদি বসে না থেকে কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রাখে মাঠে পরিদর্শন ও জমিতে মাটির উপযোগী কৃষি উন্নয়নের দিকে নজর দিতেন তাহলে আমাদের ঈশ্বরদী উপজেলার সোনার মাটিতে আরও নতুন নতুন ফসল ফলানো সম্ভব বলেও তিনি জানান।ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মিতা রানী সরকার বলেন, আমাদের মাধ্যমে কোন কৃষককে রঙীন কপি চাষে সহযোগীতা করা হয়নি,তবে আমরা জানতে পেরেছে উপজেলায় বে-সরকারী সংস্থা জাগরণী ফাউন্ডেশন কিছু কৃষককে সহযোগীতা করেছে।