1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

এবার দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি অনলাইনে

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক
এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলিতে দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি ডিজিটালাইজড করতে শিগগিরই অনলাইন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। সে লক্ষে নতুন সফটওয়্যার প্রেজেন্টেশন করা হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে চলতি মাস থেকেই এই উদ্যোগের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬০১ টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৬৬ জন। জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় সংশ্লিষ্ট দফতরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী দালালদের সঙ্গে যোগসাজশে বদলি হতে চাওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।

এ অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ভাবমূর্তি রক্ষার পাশাপাশি এই দুর্নীতি বন্ধে এবার অনলাইনে বদলির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাস থেকেই কার্যক্রম শুরুর কথা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এরই মধ্যে সফটওয়্যারের কাজ শেষের পথে। বাকি কাজ শেষ করে চলতি মাসে ট্রায়াল করা যাবে। সরকার চাইলে নভেম্বর থেকে এই কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন।

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা ( সংশোধিত) ২০১৮ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির মেয়াদ দুই বছর পূরণ হলে এবং পদ শুন্য থাকলে আন্তঃউপজেলা/ থানা, আন্তঃজেলা/আন্তবিভাগে বদলি করা যাবে। যেকোনো জেলা, উপজেলা থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় বদলি করা যাবে।

এই বদলির পর তাকে তিন বছর একই স্থানে কাজ করতে হবে। এর আগে বদলির আবেদন করলে তা পুনঃবিবেচিত হবে না। তবে যেসব বিদ্যালয়ে চারজন বা তার কম শিক্ষক রয়েছেন বা শিক্ষক অনুপাতে শিক্ষার্থী ১:৪০ বেশি রয়েছে, সে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক প্রতিস্থাপন না করা পর্যন্ত বদলি করা যাবে না।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ অনুযায়ী, শারিরীক ও মানসিক সক্ষমতা বিবেচনায় তাদের বদলি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা যাবে। তাদের সন্তানদের একই সমস্যা হলে এই সুবিধা পাবেন। এছাড়া চাকরির আগে কিংবা পরে বিয়ে হয়েছে এমন স্বামী-স্ত্রী এক স্থানে থাকা, বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, সফটওয়্যার তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আমরা একটি ডেমো ভার্সন দেখে কিছু সংশোধনীও দিয়েছি। এই বছরের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে।

জানা যায়, বদলির জন্য শিক্ষকদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। নির্দেশিকা এই বদলিতে অসুস্থ শিক্ষক, বিধবা কিংবা ব্যক্তিগত সংকটে থাকা শিক্ষকেরা, প্রতিবন্ধী শিক্ষক/ শিক্ষিকা যাদের বদলি জরুরি প্রয়োজন, কিন্তু কোনোভাবে হতে পারছেন না, তাদের সুবিধার জন্য জন্য আলাদা অপশন থাকবে। সফটওয়্যারটি পুরোপুরি চালু হলে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম এর মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, মাত্র তিন মাস চলে শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম আর এতে প্রচুর তদবির আসে। আমরা চাই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে। পাশাপাশি শুধু তিন মাস নয়, সারা বছর ধরে যেন ঝামেলাহীন বদলি কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। চলতি মাসেই হয়তো এ কার্যক্রম চালু করা যাবে। এতে করে শিক্ষকদের আর হয়রানি, অর্থ ব্যয় এবং দালালদের সহযোগিতা নিতে গিয়ে ঠকতে হবে না। আমরা এ কাজে স্বচ্ছতা আনতে চাই।

এদিকে চলতি বছর থেকে অনলাইনে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার জন্য এ বছর ফেব্রুয়ারিতে জরুরি বদলি ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

 

এম এ হালিম

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি