অস্বীকার করার উপায় নেই, বাংলাদেশের অনেক জায়গায় দুর্নীতি অনিয়ম আছে। এসব নেতিবাচক খবর গণমাধ্যমে আসে নিয়মিতই। কিন্তু নেতিবাচকই নয়, ইতিবাচক এবং প্রশংসনীয় ব্যাপারগুলোও সামনে আনা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনার টিকা নিয়েছেন জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার। সস্ত্রীক টিকা নিতে গিয়েছিলেন তামিম। টিকাদান প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয় এত সুন্দরভাবে চলছে, দেখে রীতিমত মুগ্ধ টাইগার ওপেনার। প্রশংসা করেছেন সংশ্লিষ্ট সবার। এত সুন্দরভাবে দেশের জনগণের জন্য টিকার ব্যবস্থা করে দেয়ায় তামিম আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
টিকা নেয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তামিম বলেন, ‘আমি অভিনন্দন জানাতে চাই, যারা এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। যতটুকু জানি, আমরা ১২ নম্বরে আছি ভ্যাক্সিনেশনে। এই মাসের শেষে এমনও হতে পারে যে, সেরা চার বা পাঁচের ভেতরে এসে যাব। এটা বিশাল একটা অর্জন বলে আমি মনে করি। আমার কাছে মনে হয় যে, এতে যারাই সম্পৃক্ত অবশ্যই ধন্যবাদ জানানো উচিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে এই জিনিসটা ভালোভাবে করে দিয়েছেন সবার জন্য, উনাকেও ধন্যবাদ।’
তামিম মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভাগ্যবান যে তারা এত সহজেই টিকা নিতে পারছেন। তার ভাষায়, ‘আমরা ভাগ্যবান যে আমরা এই জিনিসটা (টিকা) পাচ্ছি। বিভিন্ন দেশ, আমরা যে প্রথম সারির দেশ বলি, অনেক দেশে কিন্তু এই পরিমাণ ভ্যাক্সিনেশন দেয়াই হয়নি। সেখানে আমরা মোটামুটি ১২ নম্বর দেশ।’
দেশসেরা এই ওপেনার জানালেন, আর দশজনের মতো তার মনেও ভয় ছিল। তবে করোনা টিকা নেয়ার পর সেই ভয় কেটে গেছে। নিজের সুরক্ষার জন্যই সবার এই টিকা নেয়া উচিত, মনে করেন তামিম।
তামিম বলেন, ‘ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে আমি যেটা বললাম। যদি এটা নিয়ে আপনারা জানতে পারেন যে জিনিসটা আপনার জন্য কতটা হেল্পফুল, তাহলে আমার কাছে মনে হয় ভয় জিনিসটা সবারই কমে যাবে। আমিও একজন ছিলাম অস্বীকার করব না। যখন প্রথম অ্যাপ্রোচ হয়েছিল, তখন আমিও নিশ্চিত ছিলাম না নেব কি নেব না। কিন্তু যখন এটা নিয়ে কথা বলেছে বিসিবি, বিভিন্নজন বুঝিয়েছে, আমার মনে হয়েছে যে আমি নিতেই পারি। যেটা বললাম, আমরা অনেক ভাগ্যবান। বাংলাদেশিরা অনেক ভাগ্যবান যে এত তাড়াতাড়ি ও সুন্দরভাবে জিনিসটা নিতে পারছি, পাচ্ছি।’