1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন

রুশ-মার্কিন সংঘর্ষের পর সিরিয়ায় সেনা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় সেনা উপস্থিত বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি রুশ সেনাদের সঙ্গে দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের পর উত্তেজনা বাড়লে ট্রাম্প প্রশাসন সেনা বাড়ানোর এমন সিদ্ধান্ত নেয়। চলতি বছরে সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে মার্কিন সেনাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ছয়টি বাড়তি আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ট্যাংক ছাড়াও অতিরিক্ত প্রায় একশো সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নৌবাহিনীর (ইউএস নেভি) ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলছেন যে, এই পদক্ষেপ ‘কোয়ালিশন বাহিনীর সুরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।’
মার্কিন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন বিল আরবান এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘কুয়েতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে থাকা এসব যুদ্ধযানের পাশাপাশি সিরিয়ায় একটি ‘সেন্টিনেল রাডার’ মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া মার্কিন বাহিনী যেসব এলাকায় টহল দেয় তাদের মাথার উপর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানও মহড়া চালাবে।’
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র আরবান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সিরিয়ায় অন্য কোনও দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চায় না যুক্তরাষ্ট্র, তবে প্রয়োজনে কোয়ালিশন বাহিনীকে সুরক্ষা দেবে।’ কিন্তু মার্কিন সেন্ট্রাল বাহিনীর এ মুখপাত্রের বিবৃতির কোথাও রাশিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মার্কিন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ও শক্তিবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা রাশিয়া ছাড়াও অন্যান্য পক্ষকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অলাভজনক, অনিরাপদ এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপগুলো এড়ানোর একটি সুস্পষ্ট সংকেত দিচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ আরও জানিয়েছে, উত্তরপূর্ব সিরিয়ার একটি ‘নিরাপদ জোন’ যেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বাহিনী এবং কুর্দিরা কার্যক্রম পরিচালনা করে সেখানে রুশ বাহিনীর প্রবেশ আটকাতেই নতুন করে সেনা ও সাঁজোয়া যান পাঠানো হয়েছে।
গত মাসের শেষ দিকে মার্কিন সেনাদের একটি দল রাশিয়ার একটি সাঁজোয়া যানের মুখোমুখি হয়ে গেলে লড়াইয়ে সাত মার্কিন সেনা আহত হয়। লড়াইয়ের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া সরকার এ ঘটনার জন্য পরষ্পরকে দায়ী করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি