1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

শচিনের নাম ভাঙিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক : কোনো সন্দেহ ছাড়াই ভারতের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় নাম শচিন টেন্ডুলকার। দেশটিতে তার প্রভাব এতোটাই বেশি যে, সবাই তাকে একবাক্যে ক্রিকেট ঈশ্বর হিসেবেই মেনে থাকেন। কিন্তু এরই মাঝে আবার রয়েছে অসাধু ব্যক্তিবর্গ। যারা কি না নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অপব্যবহার করছেন শচিনের নাম।
ভারতের ক্রিকেট ইম্প্রুভমেন্ট কমিটি (সিআইসি) চেয়ারম্যান লালচাঁদ রাজপুত এনেছেন এমন অভিযোগ। শুক্রবার মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) প্রধান বিজয় পাতিলকে তিনি জানিয়েছেন যে, কিছু মানুষ নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দায়িত্বে বসানোর জন্য শচিনের নাম ব্যবহার করছে।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মুম্বাই ক্রিকেটের কোচের পদের জন্য ২৪ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিআইসির তিন সদস্য লালচাঁদ রাজপুত, রাজু কুলকার্নি এবং সামির দিঘে। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচক পদের জন্য সাক্ষাৎকার নেবেন তারা। এই সাক্ষাৎকারে কতিপয় ব্যক্তিবর্গ শচিনের নাম ভাঙিয়ে প্রার্থীদের সুপারিশ করছেন বলে অভিযোগ লালচাঁদের।
এ বিষয়ে অভিযোগ করে বিজয় পাতিলকে দেয়া ই-মেইলে লালচাঁদ লিখেছেন, ‘আমরা শচিনকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তার নাম যত্রতত্র ব্যবহার করে আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তিনি (শচিন) অমুক-তমুককে সুপারিশ করেছেন। কিন্তু শচিনের যদি এমন কোনো সুপারিশ থাকত, তিনি সরাসরি প্রেসিডেন্ট কিংবা সিআইসিকে তা বলতেন। আমরা তাকে ভালোভাবে চিনি। তিনি একজন আইকন এবং সবার শ্রদ্ধার পাত্র। আমি নিশ্চিত তার যদি কোনো পরামর্শ বা সুপারিশ থাকে, তাহলে সে বিষয়ে কথা বলার পূর্ণ অধিকার তার রয়েছে।’
একই ই-মেইলে বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিল সদস্য অমিত দানির নাম উল্লেখপূর্বক অভিযোগ করেছেন লালচাঁদ, ‘আমি পরামর্শ নিতে সবসময়ই আগ্রহী। যে কেউ পরামর্শ দিতে আসলে স্বাগতম। কিন্তু দানি আমাকে তো এটা বলতে পারে না যে, আমার অমুক-তমুককে নেয়া উচিৎ। এ কাজটা আমার ভালো লাগেনি। কেউ যদি নামগুলো জানতে চায়, আমি সেগুলো বলতে পারব। কিন্তু এখানে (ই-মেইলে) সেটা বলছি না আমি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখন আমি বুঝতে পারছি মুম্বাই ক্রিকেট কেন অধঃপতনের দিকে। অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে তারা জোর খাটিয়ে যেকোনো কিছু আদায় করে নিতে পারে। আমরা সিআইসি সদস্যরা এটা মেনে নিতে পারি না। আর এ কারণেই এজিএমের পক্ষ থেকে আমাদেরকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে যেনো ক্রিকেটীয় বিষয়গুলো ভালোভাবে দেখভাল করতে পারি।’
তবে স্বাভাবিকভাবেই লালচাঁদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অমিত দানি। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনও কোনো প্রার্থীর নাম সুপারিশ করতে শচিন টেন্ডুলকারের নাম বলিনি। আমি কেনো এমনটা করব? কোনো ভুল কাজে কখনও তার নাম নেবো না আমি। তিনি যদি কিছু বলার কথা মনে করেন, সেটা সরাসরি এমসিএকেই বলতে পারেন। আমার মাধ্যমে তো বলার দরকার নেই। আমি মনে করি সিআইসির সঙ্গে এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি। তাদের সঙ্গে কথা বলে এটি ঠিক করে নেবো আমি।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি