সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ চলছে। তামাক সেক্টর থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে, তার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তামাক শিল্পের সাথে অনেক মানুষ জড়িত। এ মানুষগুলোর বিকল্প কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যা করণীয় সেগুলো করা হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার অর্ধেকে কমিয়ে আনা সম্ভব। তামাক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। একটি বাঙ্গালি জাতির মুক্তি অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, অপরটি হলো আমাদের অর্থনৈকিত মুক্তি। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মহান জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন হেলথ সেন্টারের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিসিআইসির অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ক্যাম্প্যাইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস’র লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খন্দকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুর হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ ও ওয়াশ সেক্টর’র পরিচালক ইকবাল মাসুদ।