1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন

৫ কেজির বেশি ওজনের ড্রোন ওড়াতে অনুমতি লাগবে

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাঁচ কেজির বেশি ওজনের ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে অনুমতি নেয়ার নিয়ম রেখে ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন।
বৈঠকে শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল ড্রোন কি সবাই তার ইচ্ছামতো পরিচালনা করতে পারবে, না এগুলোর জন্য কোনো রেগুলেশন প্রয়োজন আছে! এটা নিয়ে সাত-আট মাস থেকে আলোচনা এবং মিটিং হচ্ছে।’
সবার মতামত নিয়ে নীতিমালায় ড্রোনের চারটি শ্রেণি করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিনোদনের জন্য ‘ক’ শ্রেণি। ছেলেরা খেলনা হিসেবে ব্যবহার করবে। এটার ওজন অবশ্যই পাঁচ কেজির নিচে হতে হবে। পাঁচ কেজির বেশি হলে এটা আর বিনোদনের মধ্যে পড়বে না।’
অবাণিজ্যিক কাজে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ‘খ’ শ্রেণির ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অবাণিজ্যিক কাজের জন্য পাঁচ কেজির বেশি ড্রোন ওড়ানো যাবে, তবে কোনো বাণিজ্যিক ভিউ থাকতে পারবে না। অনেকে বিভিন্ন জিনিস দেখে, যেমন বনের সার্ভে করে, গবেষণা বা বই লেখার মতো নিজের কাজের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যিক কাজের জন্য ‘গ’ শ্রেণির ড্রোন হবে পাঁচ কেজির ওপর। যেমন কোথাও সার্ভে করবে জমিজমা বা ফসলের ওপরে। কোনো প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি করবে, যেমন আনারসের জেলি করার জন্য ইন্ডাস্ট্রি করতে চান, সে হয়তো হিলট্রাকসে একটা সার্ভে করতে পারে কী পরিমাণ প্রডাকশন আসতে পারে, কারা কনটাক্ট ফার্মার হতে পারে। এটা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য।’
‘ঘ’ শ্রেণির ড্রোন রাষ্ট্রীয় বা সামরিক কাজের জন্য ব্যবহার হবে। রাষ্ট্রীয় কাজ যেমন- পদ্মায় যে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। বর্ষাকালে দেখেন আমাদের চারটি স্প্যান রেডি আছে কিন্তু বসাতে পারছে না। পানির গতির জন্য কাজ করতে পারে না। তাহলে পদ্মা সেতু করতে ২০ বছর লাগত। আমরা গত চার বছর থেকেই ড্রোন ব্যবহার করছি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিনোদন বা খেলার জন্য (ক শ্রেণি) এবং সামরিক বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ড্রোন (ঘ শ্রেণি) ব্যবহারের জন্য অনুমতি লাগবে না।’
নীতিমালা অনুযায়ী সিভিল এভিয়েশন নির্দিষ্ট করে দেবে কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলেও জানান তিনি।
নীতিমালা অনুযায়ী কোথায় ড্রোন ওড়ানো যাবে বা কোথায় যাবে না- জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘গ্রিন, রেড এবং ইয়োলো জোন করে দেয়া হয়েছে। খেলনা বা বিনোদনের ড্রোন ৫০০ ফুটের বেশি ওপরে যেতে পারবে না। বাকিগুলোকে অনুমতি নিতে হবে।’
‘রেড জোন টোটালি রেস্ট্রিকটেড জোন, যেমন- এয়ারপোর্ট, ক্যান্টনমেন্টের ভেতর, পদ্মা সেতুতে কাউকে ড্রোন ওড়াতে দেবে না। কারণ, কেপিআই এলাকার ভেতরে ড্রোন ওড়াতে পারবে না। শুধু সিভিল এভিয়েশন দিলেই হবে না, কেপিআই অথরিটির কাছ থেকেও অনুমতি নিতে হবে।
অনুমোদন দেয়ার কর্তৃপক্ষ এমনভাবে নির্ধারণ করা হবে যাতে সবার সুবিধা হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যেমন পঞ্চগড় থেকে যদি কেউ বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন ব্যবহার করতে চায় তখন কী হবে- এটা অথরিটি ডিফাইন করে দেবে বা অনলাইনে ব্যবস্থা থাকবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি