মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন কিয়েভ গেলেন। তাঁর এই সফরের নিয়ে আগে থেকে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
কিয়েভে গিয়ে অস্টিন আবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার কিয়েভে পৌঁছানোর পর এক্স-এ অস্টিন লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য আমি কিয়েভ এসে পৌঁছেছি। আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে চাই। তা হলো, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেও ইউক্রেনের পাশে থেকেছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।’
এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর অ্যামেরিকা ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ অর্থসাহায্য করেছে। আবার ইউক্রেনকে সমানে সাহায্য করার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন রিপাবলিকানদের রোষের মুখেও পড়েছে।
আগামী মাসে আমেরিকায় দুই দেশের সামরিক শিল্প সম্মেলনও হবে।
পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়ার সম্ভাবনা ভবিষ্যতে কমতে পারে মনে করে কিয়েভ এখন তাদের দেশে অস্ত্রের উৎপাদন বাড়াবার চেষ্টা করছে।
সোমবার রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তে চারটি বর্ডার ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ফিনল্যান্ড। এই সিদ্ধান্তে রাশিয়া ক্ষুব্ধ।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেশকভ জানিয়েছেন, ‘ফিনল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। দুই দেশ একে অপরের উপর আস্থা রাখে। ফিনল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তে রাশিয়া মর্মাহত।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘ফিনল্যান্ড ক্রমশ রাশিয়া-বিরোধী অবস্থন নিচ্ছে।’
ফিনল্যান্ড জানিয়েছে, অভিবাসীদের স্রোত নিয়ন্ত্রণ করতেই তারা সীমান্তের ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করেছে।
ফিনল্য়ান্ড ন্যাটোতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদও জানিয়েছে। তদের বক্তব্য, ফিনল্যান্ডের সিদ্ধান্ত দুই দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে।