অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ “CAREER OPPORTUNITIES AND CHALLENGES IN IT INDUSTRY DURING COVID-19” শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। ২৫ জুন অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনার বিশ্ববিদ্যালয় অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বিভাগের কো-অর্ডিনেটর শারমিন আক্তারের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব মোঃ লিয়াকত আলী সিকদার। প্রধান আলোচক ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বার। তিনি বলেন বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। অপটিক্যাল ফাইবার ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌছে গেছে। 3G থেকে নব্বই ভাগ এলাকা 4G করা হয়েছে। অচিরেই 5G চলে আসবে। এ জন্য প্রতিটি নাগরিককে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট ব্যবহার এবং প্রোগ্রামিং এ ভাল করার উপর গুরোত্বারোপ করেন।
আলোচনা অংশগ্রহণ করেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি সি.এস.ই বিভাগের প্রফেসর ড. নাসিম আখতার, বাংলাদেশ ইন্টারনেট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সি.এস.ই বিভাগের প্রফেসর ড. হাফিজ মোঃ হাসান বাবু, অত্র বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য জনাব মোঃ জোনায়েত আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয় সি.এস.ই বিভাগের এ্যাডভাইজর এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সি.এস.ই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফসর ড. মোঃ নাসির উদ্দিন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্যামস্যাং আর এন্ড ডি ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জনাব আশরাফ-উল-আসাদ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় আইটি সেক্টরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোভিড-১৯ এ আইটি সেক্টরের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। তাই আইটি সেক্টর ছাড়া বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্ব অচল। আইটি বিপ্লবের হাত ধরেই আসবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রাজুয়েটদের গণিত ও প্রোগ্রামিং এ অধিক সময় দিতে হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হলে কৌশল পরিবর্তন ও ব্যবহারিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব লিয়াকত সিকদার বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শিল্প উন্নত দেশে রূপান্তর করতে চান তার প্রধান হাতিয়ার হবে আইটি সেক্টর। দক্ষ আইটি প্রোগ্রামার তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে ৬টি মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে যা দেশের চাহিদা পূরণ করে অচিরেই বিদেশে রপ্তানী করবে। শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলেই দেশ ও বিদেশে আইটি সেক্টরে নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করার আঁশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতি মহোদয় অনুষ্ঠানের শেষে ওয়েবিনারে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উক্ত ওয়েবিনারে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের এ্যাডভাইজর জনাব শাহরুল আলম মিনা।