অভিনয়ের তাসনিয়া ফারিণ এলেন গানে। প্রথম দানেই বাজিমাত! ঈদের ‘ইত্যাদি’তে নিজের প্রথম মৌলিক গান করলেন তাহসান রহমান খানের সঙ্গে।
অভিনয়ে ফারিণের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও গানে রয়েছে। শৈশবেই গানে হাতেখড়ি তাঁর।বলেন, ‘যশোরে আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি তখন ওস্তাদ বাবলু খানের কাছে গান শিখতাম। পরে ঢাকায় এসে হলিক্রসে ভর্তি হওয়ার পর মগবাজারে নজরুল একাডেমিতে ভর্তি হই।স্কুল শেষ করেই সরাসরি চলে যেতাম গান শিখতে। মা দুপুরের খাবার নিয়ে আসতেন। নজরুল একাডেমিতে নজরুলগীতির পাশাপাশি শিখেছি উচ্চাঙ্গসংগীতও। ঢাকায় তালিম নিয়েছি প্রয়াত খালিদ হোসেনের কাছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ওনাকে হারিয়ে ফেলেছি। এ ছাড়া ইয়াকুব আলী খান, করিম শাহাবুদ্দিন স্যারদের কাছেও গান শিখেছি, ওনাদের সন্তানরাও এখন গান করেন’- বললেন ফারিণ।গত বছর ‘মেরিল ক্যাফে লাইভ’-এ অংশ নেওয়ার পর এক আড্ডায় ফারিণের দিকে হারমোনিয়াম এগিয়ে দিয়ে গাইতে বললেন গীতিকার কবির বকুল। ফারিণ বলেন, “তিনি (কবির বকুল) কিন্তু জানতেন না, গানে আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আছে। আমি গাইলাম- ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও খুব প্রচার পায়। তখনই বকুল ভাই বলেছিলেন, ‘তোমার প্রথম মৌলিক গানের গীতিকার আমি হব।’ফারিণ বলেন, “গান আমার প্যাশন, এখানে আমি বেশি সচেতন থাকতে চাই। সুর, কথা মনে গেঁথে গেলে তবেই গাইব। ‘ইত্যাদি’র আগেও গানের অফার এসেছিল, কিন্তু করিনি। ভবিষ্যতেও তা-ই করব। মনের মতো হলে সিনেমায় গাইতেও আপত্তি নেই।”
রঙে রঙে রঙিন ফারিণ
প্রথম মৌলিক গান করার প্রস্তাব ফারিণকে দিয়েছেন হানিফ সংকেত। প্রস্তাব পেয়ে রীতিমতো হতবাক ফারিণ। বলেন, ‘অনেক ভেবেচিন্তে রাজি হই। পরে শুনতে পাই, কবির বকুল ভাই আমার কথা ওনাকে বলেছিলেন। গানের কথাগুলো খুব সুন্দর, ইমরান ভাই (ইমরান মাহমুদুল) যখন সুর করে পাঠালেন, তখনই বুঝেছি দারুণ কিছু হবে। আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। প্রচারের পর থেকে যে সাড়া পাচ্ছি, তা এককথায় অভাবনীয়। এমনকি কিশোরগঞ্জের হাওরের রাস্তায় আলপনার সঙ্গে আমাদের গানটা যুক্ত করে অনেকে রিলস বা ভিডিও বানাচ্ছে। এত সাড়া পাব ভাবতে পারিনি।’
এবং তাহসান
গায়ক-অভিনেতা তাহসানের সঙ্গে নাটকে অভিনয় ও বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন। নিজের প্রথম গানেই সহশিল্পী হিসেবে পেলেন তাঁকে। গানের সহশিল্পী হিসেবে তাহসান কেমন? ‘তাহসান ভাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। যেহেতু অনেক দিন গানের বাইরে ছিলাম, আত্মবিশ্বাসের যেন ঘাটতি না হয় সে জন্য তিনি সাহস দিয়েছেন। যদিও ইমরান ভাইয়ের স্টুডিওতে আমরা আলাদাভাবেই রেকর্ড করেছি। ইত্যাদির মঞ্চে যখন একসঙ্গে পারফর্ম করি, তখনো তিনি আমাকে সাহস দিয়েছেন।’ বললেন ফারিণ।
এ বছরই একক গান: দ্বৈত গান দিয়ে ইনিংস শুরু। এবার একক গানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ‘এই মুহূর্তে একটি একক গানের প্রস্তুতি চলছে, আশা করছি এ বছরই শ্রোতাদের শোনাতে পারব।’