অবশেষে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রধান পথ হচ্ছে রাফাহ।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ত্রাণগুলো জাতিসংঘের গুদামগুলোতে রাখা হবে। সেখান থেকে গাজা উপত্যকাজুড়ে বিতরণ করা হবে। ত্রাণের মধ্যে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী এবং সীমিত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী (টিনজাত পণ্য) রয়েছে।
এদিকে, গাজায় মাত্র ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনিরা। তারা বলছে, ১০০টি ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল। তাছাড়া, কোনো জ্বালানি সরবরাহ করা হয়নি। জ্বালানির অভাবে পাঁচটি হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে পরিষেবার বাইরে চলে গেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বলছেন, গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে ২০ ট্রাক সাহায্য যথেষ্ট নয়।
তিনি বলেন, গাজায় পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ বা জ্বালানি নেই। আরও ত্রাণ পাঠাতে হবে। নিরাপদ এবং টেকসই ওপায়ে সঠিক সুবিধাভোগীদের হাতে সাহায্য পৌঁছাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। একইসঙ্গে ইসরায়েলের কয়েক’শ নাগরিককে বন্দি করে তারা। এর জবাবে হামাসকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। একইসঙ্গে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রধান পথ রাফাহ বন্ধ করে দেয়।
দুই পক্ষের হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দেড় হাজার শিশুসহ চার হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি এবং এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।