কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানাধীন ৫নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিস্তম্ভটি দীর্ঘ দিন অবহেলায় অযত্নে পড়ে থাকার কারণে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল, এই বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক শাহিন আলমের দৃষ্টিগোচর হলে সাংবাদিক শাহীন আলম দৌলাতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসি সভাপতি আব্দুল আলীম সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কায়সারের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং এ বিষয়ে কোন কিছু করা যায় কিনা তার এমন আলোচনার ভিত্তিতে সভাপতি আব্দুল আলীম সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কায়সার এই ময়লা আবর্জনার ভাগারকে দূর করে পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভটিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক শাহিন আলম সহ আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও স্থানীয় রজিবুল দফাদার সহ লোকজন নিয়ে এই ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভটিকে নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এই মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভটিতে সাংবাদিক শাহিন আলমের নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন, ইউপি সদস্য, শিক্ষক এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলী সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে পুষ্প অর্পণ করা হয়। এমন কর্মকান্ডে স্থানীয় এলাকাবাসীরা ব্যাপকভাবে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ সোহরাব হোসেন (সেন্টু) সাবেক ইউপি সদস্য, মোঃ বাদেশ দফাদার (বিশিষ্ট সমাজসেবক), মোঃ আমজাদ হোসেন শিক্ষক, মোঃ সোহেল রানা বুলেট (সহ-সম্পাদক দৌলতপুর আওয়ামী যুবলীগ) মোঃ রজিবুল দফাদার,ফারুক মন্ডল,সজিব,সেতু সহ আরো অনেকেই
এ সময় স্থানীয় অনেকেই বলেন তরুণ সাংবাদিক শাহিন আলম এর উদ্যোগে যে কাজটি করা হয়েছে এটি একটি প্রশংসনীয় কাজ। আমাদের বিভিন্ন এলাকাতে এমন মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি স্তম্ভ, ভাষা শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভ, অবহেলায় অযত্নে পড়ে আছে এগুলোর প্রতি তরুণ সাংবাদিক শাহিন আলম এর মতো এগুলোর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে কারণ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের কারণেই আমরা আজ বাংলাদেশ নামের এই দেশটি পেয়েছি এবং ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কারণে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি তাই তাদের উদ্দেশ্যে যে সকল স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে এগুলো কখনোই অবহেলার পাত্র নয়।