বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করার বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা ব্রিটিশ বিদায়ী হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনকে পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন। এ সময় মন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে ড. মোমেন হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। তিনি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং সহিংসতামুক্ত সাধারণ নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এ ছাড়া নির্বাচনের সময় ইইউ এবং অন্যান্য দেশসহ স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানান মোমেন।
উভয়পক্ষ বিমান চলাচল ও প্রতিরক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, মূলধারার ব্রিটিশ রাজনীতিতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ প্রবাসীদের ভূমিকা, সুদান, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদিসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
মোমেন বিদায়ী হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে তার সফল মেয়াদের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে হাইকমিশনারের অবদানের প্রশংসা করেন।
দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সহযোগিতার জন্য হাইকমিশনারের বিশেষভাবে প্রশংসা করেন ড. মোমেন।
হাইকমিশনার আগামী ৬ মে যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লস এবং যুক্তরাজ্যের রানি ক্যামিলার রাজকীয় রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কমনওয়েলথ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে রাজার আগ্রহের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে একটি রাজকীয় সফর আশা করেন এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সফরের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া বহুপাক্ষিক ফোরামে যুক্তরাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করেন ড. মোমেন। একইসঙ্গে মোমেন রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে কমে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তাদের স্বদেশে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মন্ত্রী।