এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পরেও বিভিন্ন (বেশিরভাগ) সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের মার্চ-২০২১ মাসের বেতন পরিশোধ না করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল ‘২১) এক বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা করোনাকালে সাংবাদিকদের এই দুরাবস্থার কথা জানিয়ে বলেন, পবিত্র রমজান মাসের বাড়তি খরচাদি ও করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার বিধি নিষেধ একযোগে চলায় জীবন নির্বাহ এমনিতেই অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। বেতন-ভাতাদি বকেয়ার এ অবস্থায় আবার সামনে এগিয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর। তাই মার্চ মাসের বেতন-ভাতা অবিলম্বে পরিশোধের দাবি জানিয়ে ডিইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঈদ উৎসব ভাতাও পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে ডিইউজে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে বিজ্ঞাপণ বাবদ বকেয়া টাকা ঈদের আগে পরিশোধ করার জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রায় ৬০ জন সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। অনেক সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রচন্ড স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করে গেলেও বহু প্রতিষ্ঠান এখনও সাংবাদিক কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি পরিশোধে টালবাহানা করছে। এমনকি, বহু প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিনের বকেয়াও আটকে আছে। শ্রম আইনে যা অন্যায়, অমানবিক ও অপরাধের শামিল। উপরন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে করোনা কালে সাংবাদিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন ডিইউজে নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে সাংবাদিকদের নিরাপদে কমর্স্থলে আনা নেওয়া ব্যবস্থা সংবাদ মাধ্যম কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করার দায়িত্বও কর্তৃপক্ষের।