অভিনেত্রীদের দিয়ে রাজনীতিবিদদের জন্য ফাঁদ পাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সম্প্রতি দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর আদিল রাজা এই বোমা ফাটান। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে চাঞ্চল্যকর ওই অভিযোগ করেন রাজা। সেই কাজে ব্যবহৃত কয়েকজন অভিনেত্রীর নামও ইঙ্গিত করেন তিনি।
সেই তালিকায় রয়েছেন মাহিরা খান, মেহুশ হায়াত, কুবরা খান ও সজল আলির মতো তুমুল জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রীরা। রাজার বিস্ফোরক দাবির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রোল হচ্ছেন তারা।
এবার প্রতিবাদে সেই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন মাহিরারা। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সজল লিখেছেন, আমাদের দেশ নৈতিকভাবে অবক্ষয়িত ও কুৎসিত হয়ে উঠছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
রাজাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কুবরা লিখেছেন, কোনো ভুয়া ভিডিও আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করতে পারবে না। কয়েকদিন ধরে আপনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতদিন আমি চুপ ছিলাম। কিন্তু অনেক হয়েছে, আর নয়।
রাজার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, যে অভিযোগ করেছেন তা প্রমাণ করতে হবে। এজন্য আপনাকে ৩ দিন সময় দিলাম। এসময়ের মধ্যে প্রমাণিত না হলে আপনাকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায়, আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।
ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ নোট লিখেছেন মেহুশও। তিনি লেখেন, আমি একজন শিল্পী। কাদা ছুড়ে আমার নাম মুছে দেয়া যাবে না। আপনার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর যারা অন্ধভাবে তা বিশ্বাস করছেন, সেটা বড়ই লজ্জার। আপনাকে ধিক্কার জানাই।
রাজার ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘সোলজার স্পিকস’। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে থাকেন তিনি। সেখান থেকেই নানা বিষয়ে ভিডিও তৈরি করেন পাকিস্তানি কর্মকর্তা।
নতুন পোস্ট করা ভিডিওতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রাজা। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন সময় নানা কাজে দেশের মডেল-অভিনেত্রীদের ব্যবহার করে তারা। তাদের মধ্যে এম এইচ, এম কে, কে কে, এস এ অন্যতম।
সাবেক মেজর সংক্ষেপে বললেও এসব অভিনেত্রীর নামের পূর্ণরূপ সবারই জানা। এম এইচ- মেহুশ হায়াত, এম কে- মাহিরা খান, কে কে- কুবরা খান এবং এস এ- সজল আলিকে বুঝিয়েছেন তিনি।