অনেকেই ভেবে নিয়েছিল, সিআর সেভেনের দলবদলে ক্লাব ফুটবলে আর দেখা যাবে না মেসি ও রোনালদো লড়াই। তবে সেই ভাবনাকে গুড়িয়ে গতরাতে আবারও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই মহাতারকা। যেখানে শেষ হাসি হাসে সদ্য বিশ্বকাপজয়ী লা পুলগার ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে ৫-৪ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসি-নেইমারের দল।
ফরাসি ক্লাব পিএসজির তাদের মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদির ক্লাব আল হিলাল ও আল নাসেরের সমন্বয়ে গড়া অল স্টার ইলেভেনের বিপক্ষে এই প্রীতি ম্যাচের লড়াইয়ে নেমেছিল। যা রীতিমতো মুগ্ধতা ছড়িয়েছে গোটা ফুটবল বিশ্বে। একের পর এক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে মেসি-রোনালদোর এ লড়াই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ইতিহাসের পাতায়।
ইউরোপিয়ান ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে সৌদি ক্লাব আল নাসেরে যোগ দেওয়ার পর গতকালই প্রথমবারের মতো ক্লাবটির জার্সি গায়ে খেলতে নেমেছিলেন রোনালদো। তবে অভিষেক ম্যাচেই চোটের কবলে পড়েছেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা। যা দর্শকদের কপালে রীতিমত চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেয়।
ম্যাচের ৩১তম মিনিটে ফরাসি ক্লাব পিএসজির ডি-বক্সের বাইরে থেকে অল স্টারের মুসা মারেগার নেওয়া শট গোলের সামনে দাঁড়িয়ে হেড দেওয়ার চেষ্টা করেন রোনালদো। তবে পিএসজি গোলরক্ষক নাভাস বল ঠেকাতে গিয়ে সিআর সেভেনের মুখে আঘাত করে বসেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যান তিনি। তখন দেখা যায়, রোনালদোর মুখের বাম পাশ বেশ ফুলে উঠেছে। তাছাড়াও মুখের ভেতর থেকে রক্তও বের হতে দেখা যায়।
তবে চোট পেলেও খেলা চালিয়ে যান সিআর সেভেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ভক্তদের কথা মাথায় রেখে নেমে পড়েন মাঠে। তাছাড়াও সেই ঘটনায় পেনাল্টি পায় অল স্টার। আর স্পট-কিক থেকে গোল করে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
মেসি-রোনালদোর এই দ্বৈরথে শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ফরাসি ক্লাব পিএসজি। ক্লাবটির হয়ে গোল করেন লিও মেসি, মারকুইনহোস, সার্জিও রামোস, এমবাপে ও হুগো একিতিকে। অন্যদিকে অল স্টারের হয়ে দুইটি গোল করেন রোনালদো। একটি করে গোল করেন জ্যাং হিউন সু ও অ্যান্ডারসন তালিস্কা।