অর্থপাচারের নতুন মাধ্যম হচ্ছে বিট কয়েন।বিটকয়েন বিশ্বের সর্বপ্রথম মুক্ত-সোর্স ক্রিপ্টোকারেন্সি যেটিকে বিকেন্দ্রিক ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে পরিচিতি দেয়া হয়। এখানে লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না এবং এটি কোন দেশের সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত মুদ্রা নয়।২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে কোন এক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করে যা পিয়ার-টু-পিয়ার মুদ্রা বলে অভিহিত হয়। এরমাধ্যমে শুধু অর্থ পাচার নয়, জঙ্গি অর্থায়নও হচ্ছে। এছাড়া যেকোনো ধরনের কালো টাকা এক দেশ থেকে অন্যদেশে স্থানান্তরের বা অবৈধ মাদক ব্যবসা, অস্ত্র, অবৈধ যন্ত্রপাতি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে।বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে ২০১৪ সালে বিটকয়েন লেনদেনকে অবৈধ বলে ঘোষণা দেয়া হয়।তাদের মতে, “এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক বা অন্য কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয় বিধায় এসব ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর দ্বারা সমর্থিত হয় না, বিগত কয়েক বছরে দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে বিপুল অঙ্কের টাকা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিট কয়েনের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে।এসব চক্রের ১০ জন সদস্যকে বিগত কিছুদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মাস্টারমাইন্ডরা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর এই হোতারা দিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের মতে, দেশের অন্তত শতাধিক ব্যবসায়ী এই বিট কয়েনের সঙ্গে জড়িত।