বয়স ৪০। স্বাভাবিকভাবেই টেনিসকে বিদায় বলার সময় এসেছে রজার ফেদেরারের সামনে। তবে এ তারকা ব্যাপারটি নিয়ে এখনই ভাবতে চান না। যতদিন সম্ভব চালিয়ে যেতে চান খেলা। যদিও এ পথে তার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট। তাই এ তারকা বলেই দিলেন, আগামী বছর খেলতে পারবেন না অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। শুধু তাই নয়, উইম্বলডনেও না খেলার সম্ভাবনায় বেশি তার।
গেল দুই বছর চোটের সঙ্গে লড়ছেন ফেদেরার। যে কারণে চলতি বছর জুনের ফ্রেঞ্চ ওপেন দিয়ে প্রায় দেড় বছর পর মাঠে ফেরেন তিনি। এরপর উইম্বলডন খেলে আবারও হাঁটুর চোটে পড়েন, করতে হয় অস্ত্রোপচার। এর আগে সেই একই জায়গায় দুটো অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল তাকে।
একই জায়গায় তিন অস্ত্রোপচারের কারণে সেরে উঠতেও সময় নিচ্ছে চোটটা। সে কারণেই আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে পারবেন না, তা একরকম নিশ্চিত। উইম্বলডন খেলার একটা সম্ভাবনা আছে, তবে সেটা হলেও খুবই বিস্মিত হবেন বলে জানালেন ফেদেরার। সম্প্রতি ত্রিবিউন দ্য জেনেভকে তিনি বললেন, ‘সত্যিটা হলো, উইম্বলডনে নামতে পারলে আমি নিজেই খুব অবাক হবো। কারণ হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হয়ে উঠতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে। সেই সময় দিতেই হবে আপনাকে।’
শেষ পর্যন্ত যদি কোর্টে ফেরেনও তবে সেটা লম্বা হবে না ফেদেরারের। ব্যাপারটা নিজেই বুঝতে পারছেন এ তারকা, ‘যদিও আমি জানি, শেষের খুব কাছাকাছিই আছি, তবু আমি চেষ্টা করতে চাই। আরও কিছু বড় ম্যাচ খেলতে চাই। আমি জানি কাজটা সহজ হবে না, কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কী?’
ফেদেরার সবশেষ ফাইনালটা খেলেছিলেন ২০১৯ সালের উইম্বলডন। নোভাক জকোভিচের বিপক্ষে তিনিও উপহার দিয়েছিলেন ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় এক ফাইনাল। পাঁচ সেটের মহাকাব্যের শেষটা সেদিন ভালো হয়নি তার। তবে শেষটা তেমন না হলেও আরেকটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলতে চান এ তারকা, ‘পরিষ্কার বলে দেই, আরেকটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল না খেললে আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে না। তবে সেখানে যদি ফিরতে পারি, সেটা হবে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো বিষয়। আমি শেষ বারের মতো দেখতে চাই, পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে আমার সামর্থ্য কতটুকু।’