শিশুদের শ্রমে নিয়োজিত করার সর্বনিম্ন বয়স সংক্রান্ত আইএলও’র কনভেনশন অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘আইএলও কনভেনশন-১৩৮’ অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এর আগে আইএলও- এর ৭টা কনভেনশন আমরা সই করেছি। ৭টা মৌলিক কনভেনশন। এছাড়া আরও সাবসিডিয়ারি ৩৫টা কনভেনশনও সই করেছে বাংলাদেশ। এখানে ১৩৮ নম্বর যেই কনভেনশনটা এটা একটা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটা ১৮৯টা দেশের মধ্যে ১৭৩টা দেশ সই করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখানে তিনটা জিনিস আছে। একটা হলো- বেসিক এডুকেশন করতে ১৫ বছর লাগে। সুতরাং ১৫ বছরের কম বয়সী কাউকে কাজে লাগানো যাবে না। দুই নম্বরে আরেকটু রিল্যাক্স করেছে, কোনো দেশের যদি আর্থসামাজিক অবস্থা বিশেষ বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে বয়স তারা কমাতে চায় তাহলে ১৪ বছর পর্যন্ত কমানো যাবে, এর ওপর না। তিন নম্বরে বলেছে এই যে, ১৪ হোক বা ১৫ হোক এ শিশুদের কোনো অবস্থাতেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে না। যেসব কাজে তাদের অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার বা জীবননাশের শঙ্কা আছে, সেসব কাজে কোনোভাবেই এসব শিশুদের ব্যবহার করা যাবে না।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আরেকটা বিষয় হলো- ১৪ বছর বয়সে তাদের কাজে লাগানো হলো এই রেফারেন্সটা সে যে সাবালক হয়েছে, সেই হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এটা তার বিয়ের বয়স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমায় সে সাবালক হিসেবে বিবেচিত হবে না। মামলা-মোকদ্দমায় যদি সে পড়ে, তাহলে তাকে শিশু অপরাধী হিসেবেই তাকে গণ্য করতে হবে।