জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের পশ্চিম আফ্রিকা শাখার (আইএসডব্লিউএপি) নতুন নেতা মালাম বাকোকে হত্যার দাবি করেছে নাইজেরিয়া। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের অভিযানে আইএসের আঞ্চলিক প্রধান নিহত ও জঙ্গিদের বেশ কিছু ‘উপাদান’ ধ্বংস হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে সক্রিয় আইএসের সামরিক শাখাকে আইএসডব্লিউএপি বলা হয়। এদের সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বোকো হারামেরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে নাইজেরীয় সেনাবাহিনীর কয়েক দশক ধরে লড়াই চলছে।
এ বিরোধ নাইজেরিয়ার সীমান্ত ছাড়িয়ে প্রতিবেশী চাদ ও ক্যামেরুনেও ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে, পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে জঙ্গি তৎপরতায় তিন লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, পুরোপুরি ত্রাণনির্ভর হয়ে পড়েছেন কয়েক কোটি লোক।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নাইজেরীয় সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার বেনার্ড ওনিউকো বলেছেন, বিদ্রোহীদের বিভিন্ন এলাকায় নাইজেরীয় সেনাবাহিনী একাধিক স্থল ও বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে আইএসডব্লিউএপি’র নতুন নেতা মালাম বাকো নিহত হয়েছেন।
অভিযানে মোট ৩৮টি ‘সন্ত্রাসী উপাদান’ নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে জানালেও বিষয়টি ব্যাখ্যা করেননি নাইজেরীয় সেনা মুখপাত্র।
তবে মালাম বাকো সত্যিই নিহত হয়েছেন কিনা তা ভিন্ন কোনো সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি আইএসডব্লিউএপি।
মালাম যদি সত্যিই নিহত হন, তাহলে এ নিয়ে চলতি বছর পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে মোট চার সন্ত্রাসী নেতার মৃত্যু হলো। এর আগে, গত মে মাসে বোকো হারামের আবুবকর শেকু, আগস্টে আইএসজিএসের আদনান আবু ওয়ালিদ, চলতি মাসে আবু মুসাব আল-বার্নাউই প্রাণ হারিয়েছেন। আবু মুসাবের মৃত্যুর পর আইএসডব্লিউএপির শীর্ষ নেতা হয়েছিলেন মালাম বাকো।
শেকুর মৃত্যুর পর বোকো হারামের কয়েক হাজার সদস্য নাইজেরীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
সূত্র: রয়টার্স