চলমান লকডাউনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসক, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাদানুবাদের ঘটনার পরের দিন সোমবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা বারের এক আইনজীবী নারগিস পারভীন মুক্তির সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মোহাম্মদ হজরত আলী স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে। এতে তারা বলেন, আইনজীবীর আইডি কার্ড প্রদর্শনের পরেও পুলিশ তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আইনজীবীরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।
বিবৃতিতে ভবিষ্যতে যাতে আইনজীবীরা বিরূপ পরিস্থিতির শিকার না হন সেজন্যে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন।
সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউমার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন। চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান ওই চিকিৎসক। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। জেনি জানতে চান, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে?
এরপর জেনি তার গাড়িতে বিএসএমএমইউ স্টিকার ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তার লিখিত পাস দেখান। এরপরও পুলিশ তার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। পরে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার হয়। পরে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
অন্যদিকে চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসককে হেনস্তায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ জানায় সংগঠনটি। বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী ওই চিঠিতে সই করেন।