নিউজ ডেস্ক : ফিজিক্যাল ফিটনেসের পাশাপাশি ক্রিকেট প্র্যাকটিস তথা ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ের স্কিল ট্রেনিংটাও চলছিল ঠিকঠাক। এরই মধ্যে ২৪ ঘণ্টা আগে এলো শ্রীলঙ্কা সফর বাতিলের ঘোষণা। আর তাতে হতাশ ক্রিকেটারদের সবাই।
করোনার মধ্যেও মাঠে ফেরার আশায় নিজেদের তৈরি করছিলেন ক্রিকেটাররা। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় মিশন সামনে রেখে প্রস্তুতিটাও চলছিল পুরোদমে। তাতে ছেদ পড়ল। এ যেন আশাভঙ্গের বেদনায় দগ্ধ হওয়ার।
অধিনায়ক মুমিনুল হকের মন খুব খারাপ। তার ভাষায়, ‘প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। চেষ্টা ছিল মাঠে ফেরার আগে যতটা সম্ভব নিজেকে ভালো মতো তৈরি করার। সেই সাথে তাগিদও ছিল ভালো করার। কিন্তু তা আর হলো কই? এখন তো সফরই বাতিল হয়ে গেল। সবার মতো আমারও খুব খারাপ লাগছে।’
টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল একা নন; মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, নাইম হাসান- সবারই মন খারাপ।
একটু বেশিই মন খারাপ পেসার মোস্তাফিজের। সবার মতো কাটারমাস্টারও হতাশ। তারও মন খারাপ। পাশাপাশি একটা অন্যরকম আফসোস-আক্ষেপও আছে তার, যা নেই আর কারও।
বলার অপেক্ষা রাখে না, মোস্তাফিজের সামনে ছিল আইপিএল খেলার হাতছানি। গত বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলা কাটার মাস্টারকে এবারও পেতে আগ্রহী ছিল তিন বড় দল কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। তার ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রস্তাব ছিল ১ কোটি টাকার।
কিন্তু একই সময় শ্রীলঙ্কা সফর থাকায় বিসিবি থেকে আগেভাগেই না করে দেয়া হয়েছিল। এক কথায় অনুমতি মিলেনি আইপিএল খেলার। সে আফসোসটাই প্রবল হয়ে দেখা দিচ্ছে এখন। এখন নিজের মনকে প্রবোধ দেয়া কঠিন হচ্ছে মোস্তাফিজের।
অফার ছিল, কোটি টাকাও মিলত। কিন্তু যে সফর সামনে রেখে আইপিএল খেলতে যাওয়া হলো না, সেই সফর শেষ পর্যন্ত বাতিল হলো- এর চেয়ে আর আফসোসের কী থাকতে পারে? আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সে আফসোসের কথাই শোনান বাঁহাতি এ পেসার।
তার ভাষ্য, ‘কী আর করব বলুন? আমাদের সবার মন খারাপ। মাঠে ফেরার সুযোগ এসেছিল। মনে হচ্ছিল করোনার ভয়াল থাবার ভেতরেও আমরা আবার ক্রিকেটে ফিরব। আবার বল ও ব্যাট হাতে মাঠে নামব। টেস্ট খেলার আশায় প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। আমি সাদা বলের চেয়ে লাল বলেই অনুশীলন করেছি বেশি। কিন্তু হায়! শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল হয়ে গেল। সবার মতো আমারও মন খুব খারাপ।’
‘মন খারাপের পাশাপাশি আফসোসও হচ্ছে। কলকাতা ও মুম্বাই থেকে যোগাযোগ করেছিল। আমাকে পেতে খুবই উৎসাহী ছিল তারা। এ ছাড়া ব্যাঙ্গালুরু থেকেও শেষ দিকে ফোন করেছিল। শ্রীলঙ্কা সফর না থাকলে হয়তো আমি ঠিকই চলে যেতাম আইপিএল খেলতে। গেলে যে সব ম্যাচ খেলতে পারতাম তা বলব না। তবে দলের সঙ্গে থাকা হতো, প্র্যাকটিস করা যেত। নিজেকে ধীরে ধীরে তৈরি করতে পারতাম। এক সময় ম্যাচ খেলার সুযোগ চলে আসত। আমার ক্যাটাগরিতে প্রস্তাবটা ছিল ১ কোটি টাকার। তা থেকেও বঞ্চিত হলাম। সব মিলে খারাপই লাগছে।’