ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নতুন দল পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২ কোটি রুপিতে তাকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অন্য কোনো দল আগ্রহ প্রকাশ না করায় ভিত্তি মূল্যেই মুস্তাফিজকে পেয়েছে দিল্লি।
২০১৬ আসর দিয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। ১ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে সেবার তাকে দলে নিয়েছিল হায়দরাবাদ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম আসরেই বাজিমাত করে হায়দরাবাদকে শিরোপা জেতাতে অবদান রেখেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। ১৭ উইকেট নিয়ে সেই আসরের ‘ইমার্জিং প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট’ স্বীকৃতি জিতেছিলেন মুস্তাফিজ।
এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতেও আইপিএল মাতিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। আইপিএলের সর্বশেষ আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন তিনি। স্লোয়ার, কাটারে দারুণ বোলিং করেছিলেন মুস্তাফিজ। যেখানে ১৪ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরুর আগে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। এমন ফর্মে থাকার পরও ২ কোটি ভিত্তিমূল্যে থাকা সাকিবকে প্রথম রাউন্ডের ডাকে নেয়নি কোনো দল।
২০০৯ সালে প্রথমবারের আইপিএলের নিলামে উঠলেও সেবার দল পাননি সাকিব। ২০১১ আসরের আগে তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৪ আইপিএলের আগে কলকাতা তাকে ধরে রাখে ২ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে।
২০১১ থেকে টানা সাত মৌসুমের ছয়টিতে খেলেছিলেন এই দলে। কলকাতার দুটি শিরোপা জয়ের অংশ ছিলেন তিনি। এরপর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন সাকিব। ২০১৮ আইপিএলের আগে তাকে ২ কোটি রুপিতে দলে নিয়েছিল হায়দরাবাদ।
আইপিএলের সর্বশেষ মৌসুমে কলকাতার হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। ২ কোটি ভিত্তিমূল্যের সাকিবকে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল তারা। যদিও দলটির হয়ে ভালো করতে পারেননি সাকিব।
পুরো মৌসুমে পুরো মৌসুমে ৮ ম্যাচ খেলা সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল মোটে ৪৭ রান। বল হাতে সাকিবের শিকার ছিল মাত্র ৪ উইকেট। আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৭১ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যেখানে ৭৯৩ রান করার সঙ্গে বল হাতে নিয়েছেন ৬৩ উইকেট।