ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য তিনি দলমত–নির্বিশেষে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কাজ করবেন।
প্রধান কৌঁসুলি করিম খান আইসিসিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের পর এই কথা বলেছেন তিনি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘অত্যন্ত একরোখা এ সিদ্ধান্তের’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তিনি বদ্ধপরিকর। রিপাবলিকানরা যখন আইসিসির কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ নিচ্ছে, তখনই এমন মন্তব্য করলেন ব্লিঙ্কেন। আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবটির বিষয়ে শিগগিরই ভোটাভুটি হতে পারে।
এর আগে গত সোমবার আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েলের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন। ওই আবেদনে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের তিন নেতার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়। তবে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ আদালতটির বিভিন্ন বিচার কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।
মঙ্গলবার (২১ মে) কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে রিপাবলিকান সিনেটর জেমস রিশক জানতে চান, যেসব দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন, বৈধ ও গণতান্ত্রিক, তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো থেকে আইসিসিকে বিরত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আইন প্রণয়নে ব্লিঙ্কেন সমর্থন দেবেন?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দলের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য আমরা আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। এমনটা করতে আমি বদ্ধপরিকর।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিঃসন্দেহে একরোখা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।’
ইতিমধ্যে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে দুটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
খবর বিবিসি