গেল মাসে টিম সাউদিকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার নেতৃত্বে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। ব্যাটে-বলেও দারুণ ফর্মে ছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক। অসাধারণ সেই পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি মার্চ মাসের সেরা খেলোয়াড় ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ হিসেবে সাকিবের নাম প্রকাশ করে। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো মাসসেরা হওয়ার পথে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খানকে পেছনে ফেলেছেন টাইগার পোষ্টারবয়।
মার্চে ইংলিশদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। ওয়ানডে সিরিজে ২টি হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট ১৪১ রান করার পাশাপাশি ৬টি উইকেটও দখল করেন তিনি। তৃতীয় ওয়ানডেতে টাইগারদের জয়ের ম্যাচে ৭১ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলার পর বল হাতে চার উইকেট নেন তিনি।
এই সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ও উইকেট শিকারি ছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিবের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে টিম টাইগার্স। যেখানে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ৩৮ রান করেন। পাশাপাশি ৩টি উইকেট দখল করেন তিনি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত ৩৪ রান করে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন তিনি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সাকিব সংগ্রহ করেন ১টি অর্ধশতরানসহ ১১০ রান ও ১টি উইকেট। এর মধ্যে একটি ছিল ৯৩ রানের ইনিংস। আইরিশদের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজেও ৬৪ রান করার পাশাপাশি ৫টি উইকেট পকেটে নেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচে পাঁচ উইকেট তুলে নেন সাকিব।
গত মার্চে ১২ ম্যাচে মাঠে নেমে ব্যাট হাতে ৩৫৩ রান করেছেন সাকিব। বোলিংয়ে তার শিকার ১৫টি উইকেট। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। অন্যদিকে, মার্চে দুই টেস্ট খেলে ৩৩৭ রান করেন কেন উইলিয়ামসন। যার মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অপরাজিত ১২১ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্টে আবার হাঁকান ডাবল সেঞ্চুরি।
সাকিবের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেটার আসিফ খান নেপালের বিপক্ষে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দেন। এছাড়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচেও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি।
তবে সাকিবের পারফরম্যান্সের সামনে উইলিয়ামসন-আসিফ খানের ঝলক টেকেনি। ফলে দ্বিতিয়বারের মতো বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের হাতেই উঠেছে আইসিসির মেগা পুরস্কার।