বিপ্লব বড়ুয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, লিভার ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন মুকুল বোস। তিনি গত ১৬ মে ঢাকার রায়েরবাজারের বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাঁকে মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে পরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। এরপর সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে চেন্নাইয়ে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে স্ব পরিবারকে হত্যার পর দেশের রাজনীতির সূ্র্য্য্ অস্ত নিমিত হয়। ঠিক সে সময় জিয়াউর রহমানের সামিরিক সরকারের রক্ত চুক্ষকে উপেক্ষা করে শ্রী মুকুল বোস রাজপথে নেমে পড়েন।বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়।সেনা নিবাসে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়।৫০ বছরের রাজনীতির অবসান ঘটছে শ্রী মকুল বোস বিদায় নিলেন।ছাএলীগের সভাপতি ছিলেন দু,বার কেন্দ্রীয় আওয়ামীলিগের যুগ্ন সাধরন সম্পাদক ও জীবনের শেষদিন পর্যান্ত আওয়ামীলিগের ছিলেন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ।মুকুল বোসের মূত্যতে সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেত্ববৃন্দ গভীর শোক জানিয়েছেন।
মুকুল বোস ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় ওবায়দুল কাদের, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জরুরি অবস্থার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০০৯ সালের সম্মেলনে মুকুল বোস কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েন। পরে ২০১২ সালের সম্মেলনেও তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে ফিরতে পারেননি। ২০১৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন অনুষ্ঠানের আড়াই মাস পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, কাল রোববার তাঁর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।