আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ৮১ সদস্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৯টি পদে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৩২টি পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে, সেগুলো নেতৃত্ব বাছাইয়ের দায়িত্ব দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর ২, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক, উপ প্রচার সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সংসদের ২৮ সদস্য পদ রয়েছে। এসব পদ দু-একদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভায় নবনির্বাচিত সভাপতিকে এই দায়িত্ব দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা। সভায় সভাপতিত্ব করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভা শেষে গণভবনের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভা ছিল এটি। সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী এ সভা হয়। সবার এজেন্ডা ছিল কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা।
সভায় যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাশরাফী বিন মর্তুজাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নেত্রী তার নাম প্রস্তাব করলে সবাই সমর্থন দেন। এ ছাড়া শূন্য তাকা পদগুলো পূর্ণাঙ্গ করার দায়িত্ব সভাপতির হাতে অর্পণ করা হয়েছে। তিনি দু-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবেন।
সভায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কর্মসূচি, পরবর্তী করণীয়, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে প্রেসিডিয়ামের উদ্দেশে বিস্তারিত এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন নেত্রী।
এর আগে সভাপতিমণ্ডলীর সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিমিন হোসেন রিমি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে টানা দশমবারের মতো নতুন সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তৃতীয়বারের মতো ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। ওই দিন ৮১ সদস্যের কমিটির মধ্যে ৪৮টি পদে মনোনীত নেতাদের নাম ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। তবে প্রেসিডিয়ামের দুটি পদ, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং নির্বাহী সদস্যদের পদগুলো ফাঁকা রাখা হয়।