ঝিটকা বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পদ্মা নদী থেকে বালু তোলাকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজার ও লেছড়াগঞ্জ বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান।
হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুল আজিজ, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুস্তাকিম চৌধুরী রিফাত ও ছাত্রলীগকর্মী ফয়েজ আহমেদ আহত হয়েছেন।
লুতফর রহমান বলেন, “আমরা ঝিটকাতে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন অতর্কিত হামলা করলে ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুস্তাকিম চৌধুরী রিফাত, কর্মী ফয়েজ আহত হয়েছেন।
“রিফাত চৌধুরীকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া লেছড়াগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজকেও মারধর করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু বলেন, “আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুল আজিজ হামলায় আহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি।”
তবে কে বা কারা হামলা করেছে জিজ্ঞেস করলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আহত মুস্তাকিম চৌধুরী রিফাত বলেন, “আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন আমার উপর হামলা করেছে। আমি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।”
এদিকে আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ বলেন, “লেছড়াগঞ্জ বাজার থেকে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। পথে অতর্কিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের ২০-২৫ জন লোক আমার উপর হামলা করে। ”
তবে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।”
চেয়ারম্যান আরও দাবি করেন, “বালু মহালের ইজারার বিরোধিতা করে ঝিটকা বাজারে আমার বিরোধীদের মানববন্ধনের কথা ছিল। সেই মানববন্ধনের বিরোধিতা করায় নাজমুল মোল্লা, শুভ, নাইমসহ চারজনকে মারধর করেছে মানববন্ধনের সমর্থনকারীরা। ”
স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে বালু মহালের ইজারা পেয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যানের এক আত্মীয়। তবে বালু মহালের বিরোধিতা করে বুধবার বিকেলে ঝিটকা বাজারে মানববন্ধনের কথা ছিল।কিন্তু মানববন্ধনের পক্ষে ও বিপক্ষে ঝিটকায় দুটি পক্ষ অবস্থান নেওয়ার ফলে তা আর হয়নি।
হরিরামপুর থানা ওসি সুমন কুমার আদিত্য বলেন, মানববন্ধন শুরুর আগেই ঝিটকা বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। হামলার ঘটনা ঘটে।
“তবে কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।”