কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল-থানি তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতেই তাদের দুজনের মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। তালেবান সেই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।
খবর অনুসারে, গত ১২ মে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার শহরে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল-থানি এবং তালেবানের প্রধান হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাকি বিশ্বের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক কীভাবে স্বাভাবিক করা যায়, দুই নেতা তা নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানকে সংযুক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তালেবান প্রধান আখুনজাদা।
গোপন একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকের বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সেখানে কি কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা তুলে ধরা হয়। বৈঠকে তালেবানের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই সূত্রটি জানায়, নারী শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ তালেবান যে-সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে সেসব বিষয় তুলে ধরেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠককে কাতারের জন্য একটি কূটনৈতিক সফলতা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
তবে বৈঠক নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি হোয়াইট হাউজ। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ওয়াশিংটনে অবস্থিত কাতারের দূতাবাসও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।