আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা এখনও সক্রিয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মঞ্চের খুনিরা বিচারের মুখোমুখি হয়েছে, ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কয়েকজন বিদেশে পলাতক,তাদেরকে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত আছে।
তিনি মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের মুখপত্র উত্তরণ আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্ট – ইতিহাসের কালো অধ্যায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন।
মঞ্চের খুনিদের পেছনে যারা নেপথ্যের ষড়যন্ত্রের নায়ক, তাদের আজ খুঁজে বের করা দরকার জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদের স্বরূপ উন্মোচন করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য।
তিনি বলেন, ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না।
তিনি বাংলাদেশ থেকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করার জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা আবশ্যক হয়ে পড়েছে বলেও জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, মূল্যবোধ ও আদর্শকে একে একে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে।
উত্তরণের সম্পাদক ড. নুহ- উল- আলম লেনিনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রী ডক্টর আবদুর রাজ্জাক সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস,কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন,আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এসময় তিনি বলেন যারা বঙ্গবন্ধু মুজিবকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল তারাই আজ মুছে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে।