রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, জিকরন হাইপারসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা প্রায় শেষ হওয়ার পথে এবং ২০২২ সালে নৌবাহিনীকে সরবরাহ শুরু হবে। বুধবার তিনি এ কথা বলেছেন।
রাশিয়া গত মাসে জানিয়েছিল, একটি সাবমেরিন থেকে প্রথমবারের মতো সফলভাবে জিকরন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। আগামী বছর নৌবাহিনীকে এটি সরবরাহের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাইপারসোনিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে মস্কো।
টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে পুতিন বলেন, নতুন হাইপারসোনিক অস্ত্র ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতা লেজার ও রোবট ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন এখন বিশেষ জরুরি। যা সম্ভাব্য সামরিক হুমকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। যার অর্থ হলো এগুলো আমাদের দেশের নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করবে।
পুতিন জানান, জিকরন হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফলভাবে ভূমি ও সাগরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতে হেনেছে। পানির নিচ কিংবা জাহাজের পাটাতন উভয়ক্ষেত্রেই এটি সফল।
পশ্চিমা কয়েকজন বিশেষজ্ঞ রাশিয়ার নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচগুণের বেশি দ্রুত গতির হবে, যা ঘণ্টায় ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারবে। গতি ও উচ্চতার কারণে এগুলোকে শনাক্ত করে ধ্বংস করা কঠিন হবে।