শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ মুন্না, স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মাদ্রাসার ছাত্র মাহাবুব হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-১১।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকায় এক অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সৈকত (২৩) কে গ্রেপ্তার করাহয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি সৈকত হলো আড়াই হাজার সেন্দীপাড়া এলাকার মোঃ বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার (এএসপি) সনদ বড়ুয়া জানায়, গত ৩১ জুলাই জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এস এম এরশাদুল আলম এই মামলার আসামী সৈকত, কাউছার ও শামীমকে মাদ্রাসার ছাত্র মাহাবুব হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আসামীদের মধ্যে মোঃ কাউছার জেল হাজতে আটক থাকলেও অপর দুইজন আসামী মোঃ সৈকত ও শামীম দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় এক অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকা থেকে পলাতক আসামী সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছি, ১৭ মে দিবাগত রাত ১২টার দিকে আড়াইহাজারের হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে বস্ত্রহীন অবস্থায় মাহাবুবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাহাবুব ওই গ্রামের আশকর আলীর ছেলে। নিহত মাহবুব বন্দর কওমী মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতেন। একই দিন ভিকটিম মাহাবুব কয়েকজন ‘খারাপ’ ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করলে তার বড় ভাই আবু হানিফ শাসন করেন।
পরে মাহাবুব রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায়। রাত ১২টার দিকে তার ভাইকে বস্ত্রহীন মৃত অবস্থায় সেন্দী ধান ক্ষেতে পাওয়া যায়। আদালতে আসামিরা স্বীকার করে যে, তাস খেলা নিয়ে সেদিন রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেই দ্বন্দ্বেই মাহাবুবকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে সৈকত,শামীম ও কাউসার। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।