কুমিল্লার ঘটনায় ধর্ম অবমাননা মামলার প্রধান আসামি ইকবাল হোসেনকে শনিবার (২৩ অক্টোবর) আদালতে তোলা হয়েছে।
ইকবালকে শুক্রবার কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার হয়। এরপর তাকে কুমিল্লার পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। শনিবার দুপুর নাগাদ ইকবালকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এ মামলায় আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। ট্রিপল নাইনে ফোন দেয়া ইকরাম, ঘটনাস্থল থেকে লাইভ দেয়া ফয়েজ, সিসিটিভির ফুটেজে শনাক্ত হওয়া মাজারের আরও দুই ব্যক্তি- সবাই এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, শুধু নানুয়ারদীঘির পাড়ের মন্দিরেই নয়, আরও একটি মন্দিরের ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন ইকবাল।
তদন্ত সূত্র বলছে, নানুয়ারদীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে শুরুতে ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ইকবাল হোসেন। পূজামণ্ডপটিতে শুরুতে ইকবাল লোকজন দেখে মিশন সফল না করে ফিরে আসেন।
এরপর তিনি গিয়েছিলেন ওই মণ্ডপের অদূরে দিগম্বরীতলার গুপ্ত জগন্নাথ মন্দিরে। সেখানে গেটের তালা ভাঙতে ব্যর্থ হন ইকবাল। এরপর আবার ফিরে আসেন নানুয়ারদীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে। সেখানে ওই সময় লোকজন না থাকার সুযোগ নিয়ে তিনি কোরআন শরিফ রেখে যান।