নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ (৮ সেপ্টেম্বর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কোভিড-১৯ সংকট : সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এছাড়া সরকারিভাবে দিবসটি উদযাপনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অন্যান্য বছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়ে থাকে। করোনা মহামারির কারণে এবার তা বাতিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত একবছরে সাক্ষরতা বেড়েছে মাত্র দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৮০ লাখ। উল্লিখিত সাক্ষরতার হার মেনে নিলে সরকারি হিসাবেই দেশে বর্তমানে চার কোটি ২০ লাখ মানুষ এখনও নিরক্ষর। বেসরকারি হিসাবে সাক্ষরতার হার ৬৫ শতাংশের বেশি নয় বলে মনে করা হয়। সেই হিসাবে নিরক্ষর মানুষ পাঁচ কোটি ৮৮ লাখের বেশি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিজস্ব অর্থে ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে মৌলিক সাক্ষরতা ও জীবনদক্ষতা প্রদানের লক্ষ্যে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এর মেয়াদ আছে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) অধীন ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষার জন্য একটি প্রকল্প আছে।
গণসাক্ষরতা অভিযানের (ক্যাম্পে) নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বর্তমানে যে সাক্ষরতার হারের কথা বলা হচ্ছে সেটাও প্রকৃত হার নয়। অন্যবিষয়ে সমীক্ষায় গিয়ে ‘আপনি কি লিখতে পারেন’- এমন প্রশ্নের ‘ইয়েস’, ‘নো’, ‘ভেরিগুড’ উত্তরের ওপর ভিত্তি করে এই হার নির্ণয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসডিজির (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) যুগে এ ধরনের সাক্ষরতা কোনো কাজে আসবে না। এমডিজির (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) যুগে সংখ্যাগত উন্নয়নে জোর দেয়া হয়েছিল। আর এখন গুণগত উন্নয়নের কথা বলছে বিশ্ব। সাক্ষরতা নিরূপণের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। সেটা ধরেই প্রকৃত সাক্ষর মানুষ বের করা প্রয়োজন।