বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ববাজারে অস্থিরতার কারণে দেশে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর মতো কোনো সুখবর আপাতত নেই, পণ্যের দাম কমার কোনো সুযোগ দেখছি না। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ হলে পরিস্থিতি আবারও স্বাভাবিক হতে পারে।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ডলারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ফলে আমদানিকারকদের পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুতে এর প্রভাব পড়ছে। মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি মন্ত্রণালয় দেখভাল করছে। এ বিষয়ে কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সারা দেশে অভিযান চলছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে তেলের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা ১ কোটি পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম না কমা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
টিপু মুনশি বলেন, দেশে তেলের লিটার ১৯৮ টাকা, আর কলকাতায় এখন লিটার ২১৫ টাকা ছাড়িয়েছে। শুধু নিজের দেশের পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সংবাদ না করে বাইরের দেশের অবস্থাও তুলে ধরতে হবে। শ্রীলংঙ্কা, ইংল্যান্ড, জার্মানি ও ভারতে তেলের দাম কত সেই চিত্রসহ বিশ্ববাজার পরিস্থিতি প্রচার করলে আমাদের জনগণ সঠিক তথ্য পাবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর মণ্ডল, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল আলীম মাহমুদ, বিজিবি উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান, স্থানীয় সরকার পরিচালক ফজলুল কবির, রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উদ্যোগে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এ কর্মশালায় রংপুর বিভাগের প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের শতাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। কর্মশালাটি আয়োজনে সহযোগিতা করেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়।