বিশ্বকাপের শুরুটা জয় দিয়ে রাঙ্গালো বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করল টাইগাররা। মিরাজ ও শান্তর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৯২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় বাংলাদেশ।
আজ শনিবার ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৭ ওভার ২ বলে ১৫৬ রান তুলে অলআউট হয় আফগানিস্তান। তবে জবাবে খেলতে নেমে ৩৪ ওভার ৪ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
আফগানিস্তানের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই টাইগার ওপেনার তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস। দলীয় ১৯ রানেই রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যেতে হয় তামিমকে। এরপর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন মেহেদী মিরাজ।
তবে মিরাজের সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি লিটন। সপ্তম ওভারে ফজল হক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে ১৮ বলে ১৩ রান করেই সাজঘরে ফিরেছেন লিটন।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে মিরাজ ও শান্তর ব্যাটে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয় সাকিব বাহিনী। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে হেসেখেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। বল হাতে তিন উইকেট নেওয়ার পর এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন মিরাজ। দুই টপ অর্ডার মিলে তৃতীয় উইকেটে ৯৭ রান যোগ করেন। ব্যক্তিগত ৫৭ রান করে নাভিন উল হকের শিকার হন মিরাজ।
শেষ দিকে শান্তর দায়িত্বশীল অর্ধশতকে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শান্ত।
ইনিংসের শুরুটা খুব খারাপ করেননি আফগানেরা। রহমানুল্লাহ গুরবাজ় ওপেন করতে নেমে ৬২ বলে ৪৭ রান করেন। ৪টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। আফগানিস্তানের অন্য ব্যাটারেরা কেউই বড় রান পেলেন না। ফলে তৈরি হল না বড় জুটি। প্রতিপক্ষকে কঠিন লক্ষ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে যা জরুরি। ইব্রাহিম জ়াদরান (২২), রহমত শাহেরা (১৮) ভাল শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না। দলকে ভরসা দিতে পারলেন না অধিনায়ক হাসমতুল্লা শাহিদিও (১৮)। শেষ দিকে ব্যাট হাতে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন আজমতুল্লাহ ওমরজ়াই (২২)।
ধর্মশালার ২২ গজে বাংলাদেশের জোরে বোলারদের পাশাপাশি সাফল্য পেলেন স্পিনারেরাও। শাকিবের দলের সফলতম বোলার মেহদি হাসান মিরাজ ২৫ রানে ৩ উইকেট নিলেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক নিজেও ৩ উইকেট নিলেন ৩০ রান খরচ করে। ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।