1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

আমাকে ধ্বংস করতে প্রতিশোধপরায়ণ ঢাবির ক্ষমতাধর এক নারী: সামিয়া

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির (প্ল্যাজারিজম) অভিযোগে পদাবনতি হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান সংবাদ সম্মেলন করার এক দিন পর মঙ্গলবার (২ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে তিনি অভিযোগ করে লিখেছেন, তাঁকে ধ্বংস করতে প্রতিশোধপরায়ণ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন উচ্চপদস্থ ক্ষমতাধর নারী। তবে তিনি ওই নারীর নাম উল্লেখ করেননি।

ফেসবুকে সামিয়া রহমান লিখেছেন, ‘তিনি (ক্ষমতাধর নারী) এখন ভয়াবহ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে গতকাল সাংবাদিকদের ডেকে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করার জন্য উসকাচ্ছেন। বলছেন যেকোনোভাবে সামিয়াকে ধ্বংস করে দিতে হবে। যেকোনো নিউজ দিয়ে, তা মিথ্যা হোক আর যা–ই হোক।’

সামিয়া আরো লেখেন, ‘সাংবাদিকদের কাছেই শুনলাম, যাঁদের তিনি ফোন দিয়েছিলেন। বললেন, মিথ্যা সত্যের ধার ধারি না, যেকোনো মূল্যে সামিয়াকে শেষ করতে হবে। যেকোনো নিউজ করতে হবে সামিয়ার বিরুদ্ধে। প্রয়োজন হলে আমার সকল আর্টিকেলকে প্ল্যাজারিজম বলে প্রমাণ করতে হবে। কারণ পদ, ক্ষমতা তাঁর হাতে, তিনি যদি বলেন তবে এগুলো জনগণ মেনে নেবে। সাংবাদিকেরা বললে জনগণ মেনে নেবে। যে করেই হোক সামিয়াকে টিকতে দেওয়া হবে না। সামিয়ার এত বড় সাহস আমাদের বিরুদ্ধে প্রেস কনফারেন্স করে! এবার আমি তাকে শেষ মারটা দেব।’

সামিয়া রহমান আরও লেখেন, ‘উনার এত ক্ষোভ, এত আক্রোশ কেন আমার বিরুদ্ধে? …অ্যালেক্স মার্টিনের মিথ্যা চিঠির ষড়যন্ত্রের কি তিনিই তাহলে হোতা? প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমাকে শেষ মার দেবার চেষ্টা?…যার নিজের বিরুদ্ধে প্ল্যাজারিজমের অভিযোগ আসে, তাঁর ক্ষমতার ভয়ে ২/৩টি বাদে আর কোনো মিডিয়া সাহস পায় না তাঁর বিরুদ্ধে কাভারেজ করার, যিনি নিজে প্ল্যাজারিজমের সঙ্গে যুক্ত, অন্তত ৫/৬টি আর্টিকেলে, তিনি আবার কীভাবে অন্যকে নৈতিকতার কথা বলেন?’

এর আগে সোমবার (১ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান, গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া পদাবনতির শাস্তি অন্যায়।

তিনি বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে।’ তাই প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটন করতে আচার্য ও রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেও আছেন বলে জানান তিনি।

সামিয়া রহমান বলেন, ‘২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ডিন অফিস থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়, আপনি ও সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান যৌথভাবে যে লেখাটি জমা দিয়েছেন সেটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটি শোনার পর আমি খুব অবাক হলাম। কারণ, আমি সাম্প্রতিক সময়ে ডিন অফিসে কোনো লেখা জমা দিইনি। এ সংক্রান্ত প্রমাণও আমার কাছে আছে।’

এ বিষয়কে ‘ষড়যন্ত্র’ উল্লেখ করে এর পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ কেউ এবং কিছু শিক্ষক জড়িত রয়েছেন বলে ইঙ্গিত করেন সামিয়া রহমান। তবে তাদের নাম না বলে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে তা বের করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের পদাবনতি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককেও একই শাস্তি দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি