1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

আমার ভুল-ত্রুটি সব ক্ষমা করে দেবেন : আবদুল মুহিত

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

সিলেট সিটি করপোরেশনের গুণীশ্রেষ্ঠ সম্মাননা পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।তিনি বলেছেন, নিজের জন্মস্থানে এমন একটি সম্মাননা গৌরবের। আমি একান্তভাবে সিলেটের মানুষ। প্রাপ্তির একটি নিয়ম আছে। সেটা মনের প্রয়োজন, মাহাত্ম্যের। এই যে আমাকে সম্মান জানাচ্ছেন, আমি সেই মাহাত্ম্যের কাছে মাথা নত করি। আমার ভুল ত্রুটি সব ক্ষমা করে দেবেন।

বুধবার সন্ধ্যায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহি আলী আমজাদের ঘড়ি ঘরের সামনে সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তাকে আজীবন সুকীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া সম্মাননায় পেয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাত ৮টায় আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলে সিলেট মহানগর পুলিশের বাদক দল তাকে অর্ভ্যথনা জানায়। এরপর মঞ্চে মেয়র, কাউন্সিলরসহ সিসিকের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গুণীশ্রেষ্ঠ সম্মাননা স্মারক হিসেবে শতবর্ষী আলী আমজদের ঘড়ির স্বর্ণখচিত র‌্যাপলিকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্থান্তর করেন।

 

অনুষ্ঠানে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী।

সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে আবুল মাল আবদুল মহিত দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। তার বক্তৃতায় নানা স্মৃতিচারণ মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেন উপস্থিত সবাই।

তিনি বলেন, ‌‘আমরা ১৪ জন ভাই বোন। আপনারা জানেন, আমি এই দেশের বৃদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। এই বছরের জানুয়ারি মাসে আমার বয়স ৮৮ বছর হয়েছে। আমাকে দীর্ঘজীবন দান করায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। এমন অনুষ্ঠানে কি বক্তব্য দেওয়া যায়? একটি হলো প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব্য দেওয়া। আরেকটি হলো উপস্থিত পরিস্থিতি বিবেচনায় বক্তব্য প্রদান করা। আমি দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অনুসরণ করলাম। এতে অবশ্য বেশি স্মৃতিচারণ করতে হয়। আমি স্মৃতিচারণ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব।

ছোটবেলার স্মৃতিচারণায় গ্রামীণ জীবন থেকে শহর জীবনের নানা দিক তিনি তুলে ধরেন তিনি। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ছোটবেলার আনন্দময়, স্বাধীনতার দিনগুলো খুবই উপভোগ্য ছিল। সেইসব দিনের সুখকর স্মৃতির স্মরণে আজকে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। সিলেটের পরিবেশেই আমার জন্ম। আমার বেড়ে ওঠা। আমি গর্ববোধ করি এখানে জন্মে। এখান থেকে অনেক জ্ঞানীগুণীর জন্ম হবে। আজকে সিলেট নগরে আমি একজন অতিথি। এটা একটা গর্বের বিষয়। নিজের জন্মস্থানে নিজে এমন একটি সম্মান পাওয়া গর্বের।

সিলেটকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থান উল্লেখ্য করে আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, জন্মভূমির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। সিলেটে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে হযরত শাহজালাল (রহ) এখানে এসেছিলেন। আমরা বেশিরভাগ মানুষই তার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। ধর্মাচার পালন করেও আসছি। আমাদের এখানে অন্যান্য ধর্মের আনুষ্ঠানিকতাও সমানভাবে পালিত হয়। ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐতিহ্য বহু পুরানো।

নগর পরিচালনা সেবামূলক কাজ উল্রেখ্ করে তিনি বলেন, মেয়রকে আমরা শহর পিতা বলি। কেন? তিনি আমাদের সকলের পাহারা প্রধান করেন। কোনো গোলমাল হলে সেখানে ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আমাদের দেখাশোনা করেন। আমিও ছোটবেলায় ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করেছি। এখনও আমার মনে হয় আমি সুযোগ পেলে ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করতে চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি