মোহাম্মদ আমিনুল হক ওরফে মনির , আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নাজমুল হাসান ওরফে পাখি ,হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দুজনেরই পরিচিত সড়কের আউলিয়া বা দরবেশ হিসেবে । সূত্র মতে, সড়কের অফিসার ও ঠিকাদারদের নামে বেনামে ভিত্তিহীন অভিযোগ , প্রতিদ্বন্দ্বি অফিসার ও ঠিকাদারদের নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার, অফিসারদের বদলি-ভীতি, অফিসারদের প্রমোশন ও চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর প্রলোভন, বিপুল অংকের অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, সড়ক ও মন্ত্রণালয় কর্মরত অফিসারদের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, দরপত্রে আজগুবি ও পক্ষপাত মূলক শর্ত, দরপত্রে অংশগ্রহণে সিন্ডিকেট প্রথাসহ নানাবিধ প্যাকেজ প্রলোভনের মাধ্যমে মূলত এই দুই ঠিকাদার সিন্ডিকেট তৈরি করে কন্ট্রোল করে সড়কের পুরো ঠিকাদারি কাজ।
সিন্ডিকেটে রয়েছে সমমনা দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কিছু ঠিকাদার , সড়ক ও মন্ত্রণালয়ের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা , সাংবাদিক , বিভিন্ন স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও কতিপয় দুদক কর্মকর্তা। সিন্ডিকেটের একেকজনের একেক রকম দায়িত্ব ।দায়িত্ব অনুযায়ী লভ্যাংশ বা কমিশনের ভাগ পায় প্রত্যেকেই।
দরপত্র প্রকাশ হলে সিন্ডিকেটের অন্যান্য সমমনা দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির ঠিকাদারদের প্রধান দায়িত্ব সাপোর্টিং টেন্ডার দেয়া এবং দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সম্পূর্ণ ক্যাপাসিটি থাকার পরেও অন্যান্য ঠিকাদারদেরকে দরপত্রটিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য কনভিন্স বা মেনেজ করা । কোন দরপত্রে একক অংশগ্রহণ হলে সাধারণত সেই দরপত্রটি মন্ত্রণালয়ে পাশ করা হয় না । সেক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের অন্যান্য ঠিকাদাররা দরপত্রটিতে সাপোর্টিং হিসেবে অংশগ্রহণ করে । অর্থাৎ বিপুল অংকের কমিশন এর বিনিময়ে যাকে কাজটি দেওয়া হবে ধরে নেওয়া যাক সে কাজটিতে অংশগ্রহণ করেছে ১০০ কোটি টাকা দরে। অন্য যারা সিন্ডিকেট মেম্বার হিসেবে দরপত্রে সাপোর্টিং অংশগ্রহণ করবে সেক্ষেত্রে তারা কেউ ১০৫ কোটি ,কেউ ১১০ কোটি বা ১১৫ কোটি টাকা দরে প্রকাশিত দরপত্রটিতে অংশগ্রহণ করে।এজন্য সমমনা সিন্ডিকেটের ঠিকাদাররা পায় দরপত্রের মোট স্টিমেট ভ্যালুর দুই থেকে সর্বোচ্চ আড়াই পার্সেন্ট কমিশন । অর্থাৎ ১০০ কোটি টাকার একটি কাজে সর্বোচ্চ দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা ।এরপর এই দুই বা আড়াই কোটি টাকা সমমনা সিন্ডিকেট মেম্বার সকল ঠিকাদাররা নিজেদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। সূত্র মতে এই সিন্ডিকেট রয়েছে মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, রিলায়েবল বিল্ডার্স লিমিটেড, মেসার্স সালেহ আহমেদ, সাগর ইনফো বিল্ডার্স লিমিটেড, তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড, স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, মেসার্স এমডি. জামিল ইকবাল ও জন জেবি লিমিটেডের মতো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সিন্ডিকেটে সওজ ও মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ প্রায় আড়াই থেকে তিন পার্সেন্ট। বিনিময়ে তাদের মূল দায়িত্ব হলো দরপত্রে অংশগ্রহণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আজগুবি ও পক্ষপাতদুষ্ট শর্ত জুড়ে দেওয়া । নতুন নতুন ঠিকাদার সৃষ্টির কথা বলে দরপত্রে অংশগ্রহনে সিন্ডিকেট হোতা হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড ও আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেডের অনুকূলে নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করা।যাতে করে যত কম সংখ্যক ঠিকাদার দরপত্রটিতে অংশগ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করা। অথচ দরপত্রে শর্ত এমন দেওয়া উচিত যাতে করে যত বেশি সম্ভব ঠিকাদার দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত হয়। এছাড়াও তাদের অন্যান্য দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে দ্রুত সিএস পাশ করে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া, পদাধিকার বলে বিভিন্ন ধরনের আসন্ন কাজ অথবা ফিল্ডে কাজে নানা ধরনের অনৈতিক সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে সিন্ডিকেটের বাইরের ঠিকাদারদেরকে দরপত্রে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা, দরপত্রে অংশগ্রহণে বিভিন্ন ধরনের জাল সার্টিফিকেট ওভারলুক করা, সিন্ডিকেটের বাইরের কোন ঠিকাদার দরপত্রে অংশগ্রহণ করলে তার ছোট ছোট ঘাটতি খুঁজে বের করে তাকে নন রেসপন্সিভ করে দেওয়াসহ সিন্ডিকেটের বাইরের ঠিকাদারদেরকে সওজ ও মন্ত্রণালয়ের নানা ধরনের অভ্যন্তরীণ কর্মকান্ডে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা ধরনের চাপে রাখা। ফিল্ডে ঠিকাদারি কাজ শেষ করার বহু আগেই আগাম বিল দিয়ে দেওয়া।এছাড়াও সিন্ডিকেটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল সিন্ডিকেট হোতা বা সিন্ডিকেটের কোন সদস্যের নামে কোন অভিযোগ হলে লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন করে তা অতি দ্রুত দফারফা করা।সিন্ডিকেটে মূলত সওজ ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাজের পরিধি সবচেয়ে বেশি । সূত্র মতে ,এই সিন্ডিকেট এ জড়িত সওজ ও মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ মহল পর্যন্ত।কাজের পরিধি অনুযায়ী তারা মনে করে তারা খুব কমই কমিশন বা পারসেন্টেন্স পায়। মাঝে মাঝে কাঁচামালের বাজারদর বাড়তি অথবা সিন্ডিকেটের অন্যান্য মেম্বারদের কাছে বেশি খরচ হয়ে গেছে ;এসব কারণ দেখিয়ে কমিটমেন্ট অনুযায়ী তারা পার্সেন্টেজ পায়ও না। তখনই তৈরি হয় সিন্ডিকেট হোতা পাখি-আমিনুল এর সাথে দূরত্ব। গোপনে সখ্যতা গড়ে তোলে সিন্ডিকেটের বাইরের ঠিকাদারদের সাথে। প্রমাণাদি সহ পাস হয়ে পড়ে চক্রের হোতা আমিনুল-পাখি সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ , সাংবাদিক ও দুদকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার অপকর্ম , জালিয়াতি ও কুকীর্তি। এরপর অন্য কোন ইসুকে বড় করে দেখিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে ফাঁস হয়ে যাওয়ার সবকিছুই। আবার পুরোদমে শুরু হয় টেন্ডার বাণিজ্য-কমিশন বাণিজ্য। তবে চক্রের হোতা পাখি-আমিনুল হতে আর্থিক কমিশন বা পার্সেন্টেজ ছাড়াও পছন্দমত বদলি, প্রমোশন, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায় সওজ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বিদেশে অর্থ পাচার ও সম্পদ ক্রয় সহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের নামে কাজ করিয়ে পায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ। সিন্ডিকেটের হাত এতটাই লম্বা যে অতীতে সড়কের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর সাথে আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেডের এ ধরনের আর্থিক অনৈতিক লেনদেনের প্রমাণসহ একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হলেও আমিনুল হক অদ্যবধি থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অনেক ক্ষেত্রে চাইলেও সওজ ও মন্ত্রণালয়ের এসব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বের হতে পারে না এই চক্র হতে। কারন প্রায় সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারই আত্মীয়-স্বজন অনেকেই এই চক্রের বিভিন্ন ঠিকাদারী সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন থেকে রয়েছে কর্মরত। এ ধরনের অসাধু কর্মকর্তাদের একটি তালিকা ও বিভিন্ন টেন্ডারে নানা ধরনের অসঙ্গতি মূলক ও পক্ষপাত দুষ্ট শর্তের প্রমাণাদি ইতিমধ্যেই আমাদের হাতে এসেছে ।যা বিশেষ অনুসন্ধানের কাজ চলমান। চক্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে লিয়াজু রক্ষা করার মূল দায়িত্ব সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড নাজমুল হাসান ওরফে পাখির।
সিন্ডিকেটের দরপত্র অংশগ্রহণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ,দুদকের কিছু কর্মকর্তা ও কতিপয় সাংবাদিক। নির্দিষ্ট কোন দরপত্র অংশগ্রহণে এদের কোন কাজ নেই। এদের পারসেন্ট হিসেবে কমিশন দেয়া হয় না ;মূলত কোন কাজে ব্যবহার করা হলে থোক বরাদ্দ হিসেবে দেওয়া হয়।মূলত সিন্ডিকেটের হোতা আমিনুল-পাখি সহ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা কোন সমস্যায় পড়লেই এরা একটিভ হয়। এদের প্রধান দায়িত্ব হল পাখি- আমিনুল সিন্ডিকেটের বাইরের বা কোন কারনে সিন্ডিকেট হতে হুট করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া কোন ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে বেনামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ; সেই অভিযোগপত্রকে পুঁজি করে ওই সব ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে পারিপার্শ্বিক দিক থেকে লোক দেখানো সমস্যা তৈরি করে প্রেসারে রাখা। এছাড়া বদলি বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রমোশন পর্যন্ত সিন্ডিকেটের এই অংশের বিশেষ ভূমিকা থাকে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সিন্ডিকেটের ভেতরের কর্মকর্তারা খুব সহজেই পছন্দমত জায়গায় পদায়ন ও প্রমোশন পায়। অন্যদিকে বাইরের কর্মকর্তারা কখনোই তাদের পছন্দমত জায়গায় পদায়ন পায় না এবং সময় মত প্রমোশনের তো প্রশ্নই আসে না। এদের সুপারিশে মাঝে মাঝেই এদের আত্মীয়-স্বজনের মাঝে কিছু কিছু ছোট কাজ বিতরন করা হয়।
মূল হোতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি লাভবান পাখি-আমিনুল দ্বৈরথ । এদের অনেকেই আবার শচীন-সৌরভ জুটি হিসেবেও সম্মোধন করে। এদের জন্য বরাদ্দ থাকে দরপত্রের এস্টিমেট ভ্যালুর সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় পার্সেন্ট। নানা সময়েই সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের মাঝে চলে অসন্তোষ।এভাবেই মূলত চলে সওজের ঠিকাদারি কাজ। নানা ধরনের অসন্তোষের কারণে সিন্ডিকেট থেকে বের হয়ে কোন সদস্য তথ্য ফাঁস করা ছাড়া দুর থেকে খালি চোখে বুঝার কোন উপায় নেই।
চক্রের মূলহোতা পাখি -আমিনুলের প্রতারণা ও জাল সার্টিফিকেট দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। জৈনিক এম রহমান নামে এক ব্যক্তি গত ২৭ অক্টোবর দুটি প্রতিষ্ঠানকেই সড়কের দরবেশ হিসেবে অভিহিত করে পর্ব এক হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার মূল্যের কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তথ্য প্রমাণসহ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করেন। অভিযোগ পত্রটি সড়কের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দুদক সহ বাংলাদেশের প্রায় সকল মিডিয়ায় ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়। প্রমাণাদি সহ অভিযোগ পত্রটি পেলে তাৎক্ষণিক মন্ত্রণালয় নড়ে চড়ে বসে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো: আব্দুল মুক্তাদেরকে আহ্বায়ক করে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি বিগত পাঁচই নভেম্বর ও ১৫ ই নভেম্বর যথাক্রমে ৩৫.০০.০০০০.০৪৭.২৭ .০০৩.২৩-১৯১ ও ৩৫.০০.০০০০.০৪৭.২৭ .০০৩.২৩-১৯৭ দুটি স্মারকে অভিযোগ শুনানীর ব্যাপারে অভিযোগকারী এম রহমানের উপস্থিতির জন্য বলা হলেও অভিযোগকারী এম রহমান শুনানিতে উপস্থিত না থেকে বিগত ২১শে নভেম্বর তারিখে তদন্ত কমিটির কার্যক্রমের নানা ধরনের অসঙ্গতি ও অনিয়মের কথা উল্লেখ করে তদন্তের নামে এটাকে প্রহসন বলে তদন্ত কমিটির আহবায়ক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মুক্তাদেরকে আরো একটি পত্র প্রেরণ করে। পত্রে নানা ধরনের অসংগতির কথা উল্লেখ করার সাথে সাথে তিনি বলেন,”যেখানে কোথাও কারো সাক্ষী ,প্রমাণ ,উপস্থিতি ছাড়া উল্লেখিত তিনটি টেন্ডার আইডি ও পাখি এবং পাখির মামার যে পেমেন্ট সার্টিফিকেটটি জালিয়াতি করা হয়েছে ;সে টেন্ডার আইডির ইজিপি অংশগ্রহণের তারা কি জয়েন্টভেঞ্চার এগ্রিমেন্ট দাখিল করেছে তা অনুসন্ধান করলেই সকল সত্যতা বেরিয়ে পড়ে ।সেখানে তদন্ত কমিটির নামে কেন এই কালক্ষেপণ?” তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগকারীর সন্দেহ প্রকাশ করা প্রসঙ্গে সচিব এ বি এম আমিনউল্লাহ নুরীর মুঠোফোনে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তদন্তের আহ্বায়ক যুগ্মসচিব মো: আব্দুল মুক্তাদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ” তদন্ত কর্মকাণ্ডের প্রতি অভিযোগকারীর অনাস্থা বিষয়ক একটি পত্র আমি এবং আমার সচিব মহোদয় একটি ইতিমধ্যেই পেয়েছি। এরপর অভিযোগকারীর সাথে কয়েক দফা আমার কথা হয়েছে। আসলে তদন্ত সুনানিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন। তিনি চাইলে তার ইচ্ছামত যে কোন জায়গায় আমরা বসতে পারি। এ ধরনের তদন্তে অভিযোগকারী লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি সামনাসামনি কথা বলা গেলে ভালো হয়। তবে এ ব্যাপারে ইজিপি সিস্টেমসহ প্রয়োজনে আমরা সিপিটিইউ এরও সহযোগিতা নিব।”
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী এম রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ” আমি শুধু অপেক্ষায় আছি তদন্ত কমিটির ফাইনাল রিপোর্টের জন্য। এটা কোন সাক্ষী প্রমান বা শুনানের বিষয় নয়। আইডি অনুযায়ী ইজিপিতে অনুসন্ধান করলেই আমার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। তদন্ত শেষে আমি বাংলাদেশের প্রচলিত তথ্য অধিকার আইনে তদন্তের কপিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে চাইবো। এরপর বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আমি আমার ব্যবস্থা নিব ।আমার অভিযোগের স্বপক্ষে আমার কাছে দালিলিক প্রমাণাদি রয়েছে। তদন্ত রিপোর্টটি প্রকাশ পেলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কিভাবে পাখি-আমিনুল গং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিটি তদন্ত কমিটিকেও প্রভাবিত করে।”