আফছানা আক্তার, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলায় ভোট নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। দিন যত ঘনিয়া আসছে, ততই বাড়ছে প্রার্থীদের ব্যস্ততা। প্রার্থীরা জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং ভোট চাচ্ছেন। কেউ কেউ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি পাশ করলে কি করবেন জনগণের জন্য আবার কেউ কেউ সাবেক চেয়ারম্যান গনকে অথবা বিগত দিনে যারা জনপ্রতিনিধি ছিল তাদের দোষ ত্রুটি জনগণের সামনে তুলে ধরছেন।
তারই অংশ হিসেবে গত ২২শে মে ২০২৪ ইং তারিখে বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ তারেক হায়দার পথসভা ও গণসংযোগ করেন। তিনি পীরযাত্রাপুরের সাদকপুর, উত্তর শ্যামপুর, পীর যাত্রাপুর বাজারে গণসংযোগ ও পথযাত্রা আয়োজন করা হয়। উক্ত পথযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদ হোসেন স্বপন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ তারেক হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মাহমুদুল আলম, পীরযাত্রা পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন জাহের সহ ইউনিয়ন এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদ হোসেন স্বপন বলেন- আমি দ্বাদশ নির্বাচনে ফুলকপি মার্কা নির্বাচন করেছি। ফলাফল ঘোষণার সময় সবগুলো কেন্দ্রে যখন আলাদা আলাদা ফলাফল দেওয়া হয় তখন আমাকে বলা হয়েছিল আমি ১২ হাজার ভোট বেশি পেয়েছি। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলে এক ঘন্টা পর হাজির হন ফলাফল ঘোষণার স্থানে। তখন তিনি সর্বমোট ভোট ঘোষণা করেন এবং আমাকে প্রায় ৬০০০ ভোটার ডিফারেন্স দেখিয়ে পরাজিত ঘোষণা করেন। জনগণ জানে বর্তমান এমপি জনতার ভোটে নির্বাচিত নয়। তিনি তিনি হল Made By DC এমপি। তবে এটা উপজেলা নির্বাচন। এবার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হতে হবে। আর এই নির্বাচনকে কোন প্রকার বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টা করবে তাকে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা বুড়িচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী তার বক্তব্য বলেন – আমি কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলাম। জেলা পরিষদের সদস্য থাকাকালে আমার কাছে যতটা বরাদ্দ এসেছিল সবগুলো বরাদ্দ আমি বুড়িচংয়ের মানুষের মধ্যে সমভাবে বন্টন করে দিয়েছি। আমার হাতে যতটুকু ক্ষমতা ছিল ততটুকু ক্ষমতা ব্যবহার করে বুড়িচংয়ের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে আমার যথেষ্ট রয়েছে। অবৈধভাবে জোর জুলুম করে অবৈধ অর্থ আয় করার বিন্দু পরিমাণ ইচ্ছা ও প্রয়োজন আমার নেই। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার রক্ত আমার শরীরে। আর এই রক্ত কখনো বাংলার জনগণ এবং বাংলার মাটির সাথে বেইমানি করতে পারেনা এবং করবও না। তাই আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ আগামী ২৯শে মে টেলিফোন মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।