শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিন রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া জরুরি। দগ্ধ রোগীদের ইনফেকশন হলে কোনোভাবেই বাঁচানো যায়না।
তাই আপনাদের অনুরোধ আপনারা রোগীদের দেখতে এসে অহেতুক ভিড় করবেন না।
তিনি বলেন, ‘এই রোগীদের শরীর ফুলে যাচ্ছে। তাদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সেজন্য বার্ন আইসিইউতে নিতে হতে পারে। এ কারণে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাঁয় মিললে ঢাকায় নিয়ে যেতে চাই। ’
সোমবার (৬ জুন) বেলা ১২ টার দিকে চমেক হাসপাতালের পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ রোগীদের পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি আরও বলেন, চমেক হাসপাতালে যারা দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন সেসব চিকিৎসকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে এখানে কিছু সুযোগ-সুবিধার সংকট রয়েছে। সেজন্য গুরুতর রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে চাওয়া।
রোববার ১৪ জন রোগীকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের নিয়ে যাওয়া হয়। এখন আরও তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হলে সেই সংখ্যা বেড়ে হবে ১৭ জনে।
ডা. সামন্ত লাল সেন অযথা হাসপাতালে কাউকে ভিড় না করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, দগ্ধ রোগীদের জন্য সবচেয়ে ভয়ের কারণ হচ্ছে সংক্রমণ। সংক্রমণ হলে দগ্ধ রোগীদের কোনোভাবেই বাঁচানো সম্ভব না। সেজন্য অযথা কেউ ভিড় করে তাঁদের ঝুঁকির কারণ হবেন না।