রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী। নিজ দেশে (মিয়ানমার) প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়ায় মুহিবুল্লাহর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল আরসার প্রধান।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন নূর কামাল ওরফে সামি উদ্দিন। রোববার (১৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের কুতুপালং এলাকা থেকে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার দুই দিন আগ থেকেই একটি ক্যাম্পে বসে পরিকল্পনা করে সন্ত্রাসীরা। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতেই মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। হত্যাকাণ্ডে দুইটি দল সম্পৃক্ত ছিল। এদের মধ্যে নূর কামাল ওরফে সামি উদ্দিন অন্যতম।
তিনি বলেন, আরসার প্রধান মুহিবুল্লাহকে আরসায় যোগ দিতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে (মুহিবুল্লাহ) হত্যা করা হয়। এই নূর কামাল ওরফে সামি উদ্দিন আরসার মোস্ট ওয়ান্টেড কিলার গ্রুপের প্রধান। সে (নূর কামাল ওরফে সামি উদ্দিন) হেড মাঝি শফিক, জসিম, সেলিম, নূর বশর, সালাম, সলিম, কালা বদ্দা, রহিমুল্লাহ ও খালেদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলোচিত ছয়জন হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দলের ওপর সশস্ত্র হামলার সঙ্গেও সে জড়িত। সে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ/টার্গেট কিলিং শেষে কক্সবাজারের গহিন পার্বত্য এলাকায় আত্মগোপনে থাকত বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে উখিয়া, নাইক্ষ্যংছড়িসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, অপহরণ ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রায় ১৫টি মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
নূর কামাল ওরফে সামি উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।