মঙ্গলবার মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, জুনিয়র কোনো পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পর পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পেত পরিবার। তখন বিল পাস করত জেলা পুলিশ সুপার। সরকার ২০২০ সালে আট লাখ করার পর সেই বিল পাস করে জেলা প্রশাসকরা। এতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যায় ৩৭৭ পুলিশ সদস্য। এরমধ্যে মাত্র ৭৯ পরিবার টাকা পেয়েছে। বাকি সব পেন্ডিং। ডিসি নয়, বিল পাসের দায়িত্ব এসপিকে দেওয়া উচিত।
আইজিপি স্বরাষ্ট্র সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জুনিয়র কোনো সদস্য যখন দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যায় তখন পুরো পরিবার অথৈ সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হয়। জেলা প্রশাসকরা অনেক ব্যস্ত থাকেন। এই দায়িত্ব যদি আবারো পুলিশ সুপারদের কাছে যায় তাহলে এই সমন্বয়হীনতা থাকবে না। অনিশ্চয়তা কাটাতে উদ্যোগী হবে মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিকালীন সময়ে যারা দুষ্কৃতিকারী, জনগণ, সমাজ, রাষ্ট্র ধ্বংসের জন্য লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশই ক্রমাগত যুদ্ধে লিপ্ত থাকে। এই যুদ্ধ সন্ত্রাসী, অপরাধী, জঙ্গি, গ্যাং, চোর-ডাকাতদের বিরুদ্ধে। যারা শান্তিভঙ্গ কিংবা বিনষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিবছর শত শত সহকর্মীকে হারাই কর্তব্যরত অবস্থায়।
পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশের বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব ও কাজের পরিবেশের কারণে বিশেষ ধরনে রোগ হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। ঢাকা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি সম্পন্ন হলে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চাপ কমবে।
তিনি আরও বলেন, পাঁচটা মন্ত্রণালয় আমরা সিলেক্ট করেছি, যারা আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারি। রাষ্ট্র উপকৃত হবে। যদিও কারো কারো চক্ষুশূলের কারণ হচ্ছি। গ্রাম পর্যায়ে পুলিশিং এর সঙ্গে উন্নয়নের কাজে অংশ নিতে পারি।