ক নারীকে যৌন হয়রানির দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা দানি আলভেজ। বার্সেলোনার সাবেক এই তারকা শুরু থেকে তার নামে ওঠা অভিযোগগুলো অস্বীকার করে আসছেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু তথ্য–উপাত্ত ও প্রমাণ উদ্ধার করেছে বার্সলোনার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
যার পুরোটাই আলভেজের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে। দেখে নেয়া যাক, সেই পাঁচ বিষয় কী কী, যা আলভেজের বড় শাস্তির কারণ হতে পারে।
১. তার বক্তব্যে দ্বন্দ্ব
নিজের বক্তব্যের কারণেই ফেঁসে যেতে পারেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার আলভেজ। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই রাইটব্যাক এখন পর্যন্ত তিনটি ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। প্রথমে বলেছেন, যে নারী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন, তাকে তিনি চেনেন না।
আলভেজ এরপর আবার বলেন, ওই নারীকে তিনি দেখেছেন, কিন্তু তার সঙ্গে এ ধরনের কোনো আচরণ করেননি। আর সর্বশেষ বলেছেন, সেই নারী নিজে থেকে তার কাছে এসেছেন। নিজের স্ববিরোধী বক্তব্যের কারণেই ফেঁসে যেতে পারেন আলভেজ।
২. জামাকাপড় এবং ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট
ওই ঘটনার দুই দিন পর আক্রান্ত নারী থানায় মেডিকেল রিপোর্ট এবং ঘটনার দিন যেসব জামাকাপড় পরা ছিলেন, সেগুলো জমা দেন। সেখান থেকে তদন্তের দায়িত্ব নেয় স্পেনের সেন্ট্রাল ইউনিট ফর সেক্সুয়াল অ্যাসল্টস (ইউসিএএস)। চিকিৎসকের সেই প্রতিবেদন ও জামাকাপড় নাকি আলভেজের বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দিচ্ছে।
৩. নিরাপত্তা ক্যামেরা
এল পেরিওডিকো নামের এক স্প্যানিশ সংবাদপত্র বলছে, সেদিন আলভেজ আর সেই নারী প্রায় এক ঘণ্টার মতো টয়লেটের ভেতর ছিলেন। নিরাপত্তা ক্যামেরাতেই মূলত তাদের ভেতরে থাকার বিষয়টি উঠে আসে। নিরাপত্তা ক্যামেরার এই ভিডিও ফাঁসিয়ে দিতে পারে আলভেজকে।
৪. ট্যাটু বা উল্কি
অভিযোগকারী নারী বলেছেন, আলভেজের পেটে একটি অর্ধচন্দ্রের ট্যাটু বা উল্কি আঁকা আছে। শারীরিকভাবে কাছাকাছি না গেলে এ ধরনের উল্কি সাধারণত অন্য কারও দেখার কথা নয়। এই তথ্য ফাঁসাতে পারে আলভেজকে।
৫. মোসো ডি’এসকোদ্রার রেকর্ডিং
কাতালুনিয়া পুলিশ মোসো ডি’এসকোদ্রার ক্যামেরায় কাকতালীয়ভাবে ধারণ হয়ে যাওয়া একটি ভিডিও নাকি অভিযোগকারী নারীর দাবিকে সমর্থন করছে। ফরেনসিক পুলিশের হাতে বর্তমানে সেই প্রমাণ রয়েছে।