আবারও সেই পুরোনো গল্প, ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে এসে আরও একবার হারতে হল বাংলাদেশকে। অথচ হারের মাত্র আধা ঘণ্টা আগেও ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল টাইগাররা। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার ও রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটে আবারও সর্বনাশ! ঢাকা টেস্টে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ৩ উইকেটে হারল বাংলাদেশ। এই হারে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুটিতেই হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হল বাংলাদেশকে।
মিরপুর টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ৬ উইকেট, আর ভারতের দরকার ১০০ রান। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এমন সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমে আশার আলো দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ম্যাচজুড়ে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। আর শেষ ব্যর্থতাটাই হয়তো হয়ে গেল সবচেয়ে বড়। ১ রানে জীবন পাওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন মিরাজের ১ ওভারে ১৬ রান নিয়ে শেষ করে দেন ম্যাচ।
এমনটা নয় যে, মিরপুর টেস্টে জয়ের জন্য ভারতের সামনে বড় রানের টার্গেট ঝুলিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমেই বিপাকে পড়ে ভারত। পরপর উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যান রাহুলরা। জয়ের জন্য ১৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ৪ উইকেটে ৪৫ রানে দিন শেষ করে টিম ইন্ডিয়া।
টাইগাররা আগেরদিনের সাফল্যের ধারবাহিকতা ধরে রাখেন রোববারও। দিনের শুরুতেই সাকিব আল হাসানের হাত ধরে আসে প্রথম সাফল্য। এরপর গুরুত্বপূর্ণ আরও ২ উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
জয়দেব উনাদকাটকে নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামেন অক্ষর প্যাটেল। বোলিং শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় বলে ২ রান নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু করেন উনাদকাট। তৃতীয় বলে আম্পায়ার্স কলে এলবিডব্লিউর হাত থেকে বেঁচে যান তিনি। চতুর্থ বলে বিশাল ছক্কা হাঁকান উনাদকাট। পঞ্চম বলে ১ রান নেন তিনি।
কিন্তু ২৪.৪ ওভারে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন উনাদকাট। ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
আর ছয়ে নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা রিশভ পন্ত টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন পন্ত। স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৯ রান। এক ওভার পর মিরাজের শিকার অক্ষর পাটেল। থিতু হয়ে বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে বোল্ড করে মিরাজ ভারত শিবিরে করলেন আঘাত। সাজঘরে ফেরার আগে ৬৯ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। আর শেষ ইনিংসে মিরাজ পেয়ে যান পাঁচ উইকেটের স্বাদ।
কিন্তু এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে জীবন দেন মুমিনুল হক। মিরাজের বলে আউট হতে হতে বেঁচে যান অশ্বিন। তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ শর্ট লেগে নিতে পারেননি মুমিনুল। পরের বলেও আউট হতে পারতেন অশ্বিন। কিন্তু লেগ স্টাম্প ঘেঁষে বেরিয়ে যায় বল।
শেষ পর্যন্ত ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুমিনুল হকের ব্যর্থতায় ১ রানে বেঁচে যাওয়া অশ্বিন। ৬২ বলে ৪২ রান করেন অশ্বিন। ১টি ছক্কা ও ৪টি চার হাঁকান তিনি। আর ৪৬ বলে ৪টি চারে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়াস।