1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন

আশুলিয়া যুবলীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা 

সাভার প্রতিনিধি
  • আপডেট : বুধবার, ২ জুন, ২০২১
সাভারের আশুলিয়ায় প্রকাশ্যে ফরহাদ হোসেন (৪০)  নামের  ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা ঘটনা ঘটেছে । এসময় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্য  কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় । স্থানীয়দের সহযোগিতায়  আহত যুবলীগ নেতাকে মুমূর্ষু অবস্থায়  সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা তার একটি পাঁ ও একটি হাত ভেঙে গুড়িয়ে দেয়াসহ একটি পায়ের রগ কেটে দেওয়ার কারনে এবং  প্রচন্ড রক্ত ক্ষরনের কারনে, তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন আহতের স্বজনরা।
০২ /০৬/২১ ইং বুধবার সকাল ৭ ঘটিকার দিকে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত বাসস্ট্যান্ড এলাকার ডেন্ডাবর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন কাচাঁবাজার গলিতে মাইলস্টোন স্কুলের সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আহত যুবলীগ নেতা মোঃ  ফরহাদ হোসেন ধামসোনা  ইউনিয়ন যুবলীগের   সহ-সভাপতি।
আহত যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেনের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ফরহাদ আজও  ভোর বেলা জীমে  শরীর চর্চার জন্য বের হয়। সকাল ৭ টার দিকে জীমে শরীর চর্চা শেষে একা বাসায় ফিরছিলেন।  এসময় পুর্বে থেকে ওত পেতে থাকা  মাহবুব, তমাল, আলমগীর ও সোহেলের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী লোহার পাইপ,হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফরহাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয় এবং  এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়াসহ একটি পায়ের রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। এরপর সন্ত্রাসীরা  তাকে মৃত ভেবে রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায়।
এসময় স্থানীয়রা তাকে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে  এনাম মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে ভর্তি করে । এঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ সন্ত্রাসী হামলার  ঘটনার বিষয় ধামসোনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ শামীম মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে,  তিনি  বিষয়টি কোন মন্তব্য না করেই, এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন  ।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক  তদন্ত, মোঃ জিয়াউল ইসলাম  জানান, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি, লিখিত  অভিযোগ পেলে তদন্ত করে  প্রযোজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, আশুলিয়ার ডেন্ডাবর, পলাশবাড়ী,বাইপাইল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে মাহবুব রহমান, তমাল,  আলমগীর ও সোহেল।অস্ত্র চাঁদাবাজি,  মাদক, ও অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত অপরাধ সংঘটিত করেন তারা । স্থাপনা দখল, চাঁদাবাজি, খুন-জখমসহ একাধিক  অভিযোগ ও মামলা  রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জামিনে বেরিয়ে এসে তারা আবারও  অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে   কেউ কোনরকম প্রতিবাদ করলে তাকেই নানারকম অপদস্ত ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি