ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেখতে চেয়েছে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে ঢাকা সফররত ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া ওই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলে সেলোরি রিকার্ডোর নেতৃত্বে ইইউর আরও চারজন অংশে নেন। আর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনি কাঠামোর ওপর নির্ভর নির্বাচন চেয়েছে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন, আজ তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তারা বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চান এবং আমরাও বলেছি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভব। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আওয়ামী লীগেরও অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা একটি নির্বাচন দেখতে চায়। তারা নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে আশ্বস্ত হয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈঠকে সংলাপ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদ বিলুপ্ত, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ বিষয়ে কোন কথা হয়নি। তারা যে মিশন নিয়ে এসেছেন, সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সংবিধানের যে বিধিবিধান এর কোন ব্যত্যয় আমরা মানি না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো নির্বাচনকালীন সরকার যেভাবে থাকে বাংলাদেশেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বচানকালীন সরকার গঠিত হবে। সংসদ বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগ, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রাচর মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক ড. শাম্মী আহমেদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত ও তারানা হালিম।