রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যে ইউক্রেনকে প্রায় ৬ হাজার নতুন প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র দেবে যুক্তরাজ্য। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে বিবিসির সংবাদ গ্রহণের কাজে সহায়তা করতে এবং ইউক্রেনীয় সৈন্য ও পাইলটদের অর্থ প্রদান করতে প্রায় ৪ কোটি মার্কিন ডলারও দিতে যাচ্ছে দেশটি। খবর রয়টার্সের।
বুধবার (২৩ মার্চ) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো এবং জি-৭ নেতাদের বৈঠকে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সহায়তার নতুন এই প্যাকেজ ঘোষণা করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও বাড়ানোর বিষয়েও তিনি ইঙ্গিত দেবেন বলে জানিয়েছে তার কার্যালয়।
বরিস জনসন বলেছেন, মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা আরও বাড়াতে কাজ করবে যুক্তরাজ্য। একইসঙ্গে তাদের (ইউক্রেনের) প্রতিরক্ষাও শক্তিশালী করা হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর পার হয়ে গেছে এক মাস। এই এক মাসেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি অনেকটাই বিধ্বস্ত। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘ইউক্রেন সংকটের এক মাসের মাথায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। আমরা ইউক্রেনের স্বাধীনতার শিখাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি, অথবা ইউরোপ ও বিশ্বজুড়ে তা নিভে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে পারি।’
রয়টার্স বলছে, নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য ৬ হাজার মিসাইল এবং ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে যুক্তরাজ্য। এছাড়া বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে ৪ দশমিক ১ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদানেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মূলত বিবিসির ইউক্রেনীয় ও রুশ ভাষায় পরিচালিত পরিষেবাকে সহায়তা করতে এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য আটকাতেই সংবাদমাধ্যমটিকে এই অর্থ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জনসন।
এর পাশাপাশি নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা ইউক্রেনকে ১০ হাজার পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে এবং মানবিক ও অর্থনৈতিক সহায়তায় অতিরিক্ত তহবিল হিসেবে ৪০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।