রুশ বাহিনী ইউক্রেনের ২০ শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি জানান, এক হাজারের বেশি কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সম্মুখসারির যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
মস্কোর আগ্রাসনের শততম দিনের কাছাকাছি সময়ে লুক্সেমবার্গের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (৩ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এক ভিডিও বার্তায় যুক্ত হয়ে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া সমস্ত সামরিক শক্তি নিয়ে এ আগ্রাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’
রুশ বাহিনী ডনবাস অঞ্চলের সিভেরোদোনেতস্ক শহরে হামলা জোরালো করেছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া বেশিরভাগ শহর দখল করেছে। কামানের গোলাবর্ষণের মাধ্যমে তারা স্থানীয়ভাবে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে।
আঞ্চলিক গভর্নর সেরহাই গাইদাই বলেছেন, দেশের সবচেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিভেরোদোনেতস্ক এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। রাশিয়া সব দিক থেকে শহরের প্রতিরক্ষা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী পাল্টা লড়াই যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকটি রাজপথ থেকে শত্রুদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আর বেশ কিছু বন্দিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শহরের রাস্তায় তীব্র লড়াই চলতে থাকায় বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ মারাত্মক বিপজ্জনক।
বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ডনবাস অঞ্চলের পরিণতি উল্লেখযোগ্যভাবে বদলায়নি কিন্তু সিভেরোডনেতস্ক এর যুদ্ধে ইউক্রেনীয়রা কিছুটা সাফল্য পেয়েছে।
শহরটিতে প্রায় ১৫ হাজার বেসামরিক আটকে পড়েছে। এরমধ্যে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন আজট রাসায়নিক কারখানায়। এর আগে বুধবার ওই কারখানায় বোমা বর্ষণের পর সেটাকে রাশিয়ার ‘পাগলামি’ আখ্যা দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়ার দখল করা মারিউপোল শহরের মেয়র অভিযোগ করেছেন, মস্কো সমর্থিত নতুন শহর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা না করায় বেসামরিক কর্মীদের হত্যা করছে রুশ বাহিনী।
মারিউপোল পতনের আগে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় মেয়র ভাদিম বোয়েচেঙ্কোকে। তিনি বলেছেন, বহু বাসিন্দাকে ওলেনিভকা কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি খবর শুনেছেন দখলকারী বাহিনী স্থানীয়দের নির্যাতন করছে। তবে এসব অভিযোগ স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।